দামছড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা হাম্বাই রিয়াং ও তোয়াং রিয়াংয়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরার মাটিতে নতুন করে বিদ্রোহের ডাক।
নব গঠিত এই জঙ্গি দলটির হাতে রয়েছে এক কে সিরিজের বিভিন্ন ক্যাটাগরির রাইফেল সহ গোলা বারুদ। ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মিকে পৃষ্ঠ পোষকতা করছে বিদেশী শক্তি। অস্ত্র থেকে অর্থের জোগান সবই দিচ্ছে ভারত বিরোধী শক্তি গুলি।ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ভিত্তিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন গুলি। সঙ্গে চিনের লাল ফোর্স। তাদের উদ্দেশ্য ফের ত্রিপুরাকে অশান্ত করে তোলা।
তাদের ধর্মীয় উদ্দেশ্য পাহাড়ে হিন্দু ধর্মকে পা দিয়ে মারিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচার করা।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ নভেম্বর।। রাজ্যে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন জঙ্গি দল। এনএলএফটি – এটিটিএফের ধাঁচেই তৈরি হয়েছে নয়া জঙ্গি সংগঠন।জঙ্গি দলটির নাম ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মি বা টিএইচএমবিএ।নব গঠিত জঙ্গি গোষ্ঠীর সভাপতি হাম্বাই রিয়াং।জঙ্গি দলটির অপরেশন নেতৃত্বে দেবে স্ব-ঘোষিত কমান্ডার তোয়াং রিয়াং। ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মির সদর দপ্তর বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজেক হিলের নিউ জোপুই ঝুম হাটে। এই খবর নিশ্চিত করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা।
নব গঠিত জঙ্গি গোষ্ঠীর সভাপতি হাম্বাই রিয়াং।
উওর জেলার দামছড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা হাম্বাই রিয়াং ও তোয়াং রিয়াংয়ের নেতৃত্বে রিয়াং সম্প্রদায়ের যুবকরা ত্রিপুরার মাটিতে নতুন করে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছে।এবং হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৫ জন রিয়াং যুবকদের নিয়ে হাম্বাই রিয়াং তার নব গঠিত জঙ্গি দল ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মির কোর কমিটি গঠন করেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান বাংলাদেশের সাজেক হিলে। গোয়েন্দার রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজেক হিলের নিউ জোপুই ঝুম হাটে জঙ্গিদের ক্যাম্প।
গোয়েন্দার রিপোর্ট অনুযায়ী, নব গঠিত এই জঙ্গি দলটির হাতে রয়েছে এক কে সিরিজের বিভিন্ন ক্যাটাগরির রাইফেল সহ গোলা বারুদ। ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মিকে পৃষ্ঠ পোষকতা করছে বিদেশী শক্তি। অস্ত্র থেকে অর্থের যোগান সবই দিচ্ছে ভারত বিরোধী শক্তি গুলি।ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ভিত্তিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন গুলি। তাদের উদ্দেশ্য ফের ত্রিপুরাকে অশান্ত করে তোলা। এবং পাহাড়ে হিন্দু ধর্মকে পা দিয়ে মারিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচার করা।ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে খ্রিষ্টান ধর্মের রিয়াং যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে মিজোরাম থেকে আগত শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত রিয়াংরা ৯৯ শতাংশ খ্রিষ্টান। গোয়েন্দার দাবী, আগামী কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যের আরো ৭০ জন রিয়াং সম্প্রদায়ের যুবক যোগ দিতে চলছে ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মিতে।
।।বিজ্ঞাপন।।
রাজ্যের মাটিতে কেন হাম্বাগ্রাটা আর্মি জন্ম নিয়েছে?
গোয়েন্দার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই জঙ্গি দলটির উদ্দেশ্য উত্তর ত্রিপুরা জেলায় রিয়াং রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা।মূলত উত্তর ত্রিপুরায় থাকা রিয়াং শরণার্থী ক্যাম্প গুলিকে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়েছে ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মি।মূলত উওর ত্রিপুরা জেলায় রাজ্যের রিয়াং সম্প্রদায়ের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সম্পূর্ণ স্বায়ত্ত শাসন চালু করার দাবি নিয়েই হাতিয়ার হাতে তুলে নিয়েছে ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মির নেতা হাম্বাই রিয়াং ও তোয়াং রিয়াং সহ আরো কিছু যুবক।
চট্টগ্রামের সাজেক হিল ( ফাইল ছবি)
গোয়েন্দা সূত্রটি জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সাজেক হিলের নিউ জোপুই ঝুম হাটে ব্যাচ ক্যাম্প তৈরীর কাজ শেষ করে ফেলেছে হাম্বাই রিয়াংয়ের নেতৃত্বাধীন সেনারা।দলটি রাজ্যের উত্তর ও ধলাই জেলায় সক্রিয় রয়েছে।ব্রু শরণার্থী ক্যাম্পগুলি তাদের আতুর ঘর। এই মুহূর্তে উওর জেলার দামছড়া রিয়াং শরণার্থী ক্যাম্প থেকেই ওপারের সাজেক হিলে নেট ওয়ার্ক বিস্তার করেছে এই নতুন বৈরী সংগঠন।
।।বিজ্ঞাপন।।
টিএইচএমবিএ- র চার জন ক্যাডার চিনা আর্মির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে।
গোয়েন্দার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সাজেক হিল থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ত্রিপুরা হাম্বাগ্রাটা আর্মির সদস্যরা রাজ্যের ছামনু সীমান্তের দিকে রওয়ানা দিয়েছে। গোবিন্দ বাড়ি অঞ্চলেও তারা একটা নিটোল নেট ওয়ার্ক তৈরি করেছে।তাদের কয়েকজন সদস্য গোবিন্দ বাড়ি এলাকায় অবস্থান করে আছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই ওপার থেকে কয়েকজন ক্যাডার ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্ত ডিঙিয়ে এপারে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রটির দাবি, ইতিমধ্যেই টিএইচএমবিএ- র চার জন ক্যাডার চিনা আর্মির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। এবং তারা অবস্থান করেছে সাজেক হিলে।চিনা আর্মির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গি সদস্যরাও ছামনুতে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত গোয়েন্দার!
উত্তর জেলার কাঞ্চনপুরের রিয়াং শরণার্থী ক্যাম্প গুলিকে কেন্দ্র করে এর আগেও বিএনসিটি নামে একটি ব্রু জঙ্গি দল জন্ম নিয়েছিলো।তারা মূলত এনএলএফটির স্লিপার সেলের এজেন্ট হয়ে কাজ করতো। অপহরণ, ছিনতাই, খুন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলো বিএনসিটি। যদিও পরবর্তী সময় জঙ্গি দলটি এনএলএফটি বিশ্ব মোহন গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বুকে যে ফের নতুন উগ্রপন্থী দল জন্ম নিতে চলছে, এই সংক্রান্ত আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলো রাজ্যের এক মাত্র সংবাদ মাধ্যম “জনতার মশাল “। নতুন বৈরী দলের কার্য প্রণালী সম্পর্কেও আভাস দিয়েছিল এই ওয়েব পোর্টাল।গোয়েন্দার রিপোর্ট থেকে হাম্বাগ্রাটা আর্মিকে নিয়ে খবর সামনে আসতেই দিনের আলোর মতো প্রকট হলো জনতার মশাল – র আগাম খবর।
