#Agartala #C@rime # P@olice #Janatar #Mashal

অমিত হত্যা মামলার অভিযুক্তদের গ্রেফতার
করার সময় পাচ্ছেন না তদন্তকারী পুলিশ অফিসার

ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যেই তার স্বামীকে মারধর করেছিল কয়েকজন আইনজীবী সহ মুহুরীরা। বার অ্যাসোসিয়েশনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। এই ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট হওয়া যাবে অমিত আচার্যকে নির্মম ভাবে কারা খুন করেছে? কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যিই  পশ্চিম থানার পুলিশ ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিজই করে নি।

ডেস্ক রিপোর্টার,৪ জানুয়ারি।।
                    প্রকাশ্যে দিন দুপুরে ভর আদালতে খুন হয়েছিলেন মুহুরী অমিত আচার্য। ঘটনার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে ধাপে ধাপে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এখনো পুলিশের রাডারের বাইরে আরো পাঁচ থেকে ছয় জন। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে ঘুরছে শহরে। চক্কর কাটছে থানার চৌহদ্দিতে। তারপরও পুলিশ বলছে, ওদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না।কারণ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় নেই পুলিশের। এই অভিযোগ খোদ খুন হওয়া মুহুরী অমিত আচার্যের স্ত্রী সঞ্চিতা আচার্যের। শুধু কি তাই, “পুলিশ নাকি এখনো ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিজ করেনি”- জানিয়েছেন সঞ্চিতা।
                     অসহায় মহিলার বক্তব্য, ” ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যেই তার স্বামীকে মারধর করেছিল কয়েকজন আইনজীবী সহ মুহুরীরা। বার অ্যাসোসিয়েশনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। এই ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট হওয়া যাবে অমিত আচার্যকে নির্মম ভাবে কারা খুন করেছে? কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যিই এসপি, এসডিপিও- র নেতৃত্বাধীন আগরতলার পশ্চিম থানার পুলিশ ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিজই করে নি। পুলিশ কাদের বাঁচানোর জন্য এই নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে? অবাক করার মতো ঘটনা, অমিত আচার্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিশ্চুপ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম এবং বিরোধী দল কংগ্রেস। শাসক দল তো মুখে কুলপই এঁটে রেখেছে। কারণ অমিত আচার্যকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত এ রাজ্যের বেশ কয়েকজন আইনজীবী। মুহুরীরা তো আছেই। রাজ্যের শাসক – বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের  মধ্যেই রয়েছেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী। তারা বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ভোটাধিকারও প্রয়োগ করেন। তাই অমিত আচার্যের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলতে নাকি তাদের মুখে লাগে ” লাজ”।

।।বিজ্ঞাপন।।

খুন হওয়া মুহুরী অমিত আচার্যের স্ত্রী সঞ্চিতা আচার্যের কথায়, স্বামীর খুনিদের বিচারের জন্য তিনি থানার দরজায় দরজায় ঘুরছেন। কথা বলছেন পুলিশের সঙ্গে। ধাপে ধাপে কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ হাত গুটিয়ে নিয়েছে। অমিত হত্যা মামলায় এফ আই আর- এ নাম থাকা আইনজীবীদের  এখনো গ্রেফতার করে নি পুলিশ। অথচ তারা ঘুরছে শহরেই।  অভিযুক্ত নয়ন মজুমদার। তার বাড়ি যোগেন্দ্রনগর বিদ্যাসাগর এলাকায়। সেও নাকি ঘুরছে প্রকাশ্যে। কোনো এক রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। সঞ্চিতা আচার্য জানিয়েছেন, বাদবাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি গিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত বাবুর কাছে। অনুসন্ধানকারী পুলিশ অফিসার মহিলাকে কি বলেছেন?

।।বিজ্ঞাপন।।

সঞ্চিতা দেবীর ভাষায়, মামলার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত বাবু বলেছেন, “নয়ন মজুমদারকে গ্রেপ্তারের জন্য তিনি সময় করে উঠতে পারছেন না। নয়নকে যে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করে নি এই বিষয়টি নিয়ে সঞ্চিতা যেন বেশি উচ্চ বাক্য না করে।” হায় রে! এটাই কি রাজ্যের গর্বের পুলিশ প্রশাসন?


“কেন আপনি নয়ন মজুমদারকে গ্রেফতার করার জন্য সময় পাচ্ছেন না?”– সঞ্চিতা দেবীর এই প্রশ্নের উত্তরে তদন্তকারী অফিসার করিৎকর্মা রঞ্জিত  নাকি বলেছেন, ” প্রতিদিন থানার অন্যান্য কাজ করতে করতেই তার নাকি সময় শেষ হয়ে যায়, রাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাই তিনি নয়ন মজুমদারকে গ্রেফতার করতে পারছেন না।” ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কেন সিজ করেনি পুলিশ? এই প্রশ্নের উত্তরে অনুসন্ধানকারী অফিসার রঞ্জিত বলেন,এটা সম্ভব নয়। একথা বলে এড়িয়ে যান স্বামীর শোকে দগ্ধ অসহায় সঞ্চিতাকে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *