দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত জওয়ানরাই কি ফুটো করছে দেশের সার্বভৌমত্বকে?
কলঙ্কিত তিন বিএসএফ জওয়ান!
বিএসএফের ১০৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের চার জওয়ান একটি অটোতে করে ছয় জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে এসেছিল তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন লাগোয়া অঞ্চলে।তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশিদের রেলে করে দেশের অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়া।অটোটির পেছনে পেছনে বাইকে ছিলো জওয়ানরা।বিনিময়ে পেয়েছে ৭০ হাজার টাকা।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ফেব্রুয়ারি।। দেশের ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্স ফোর্স ভারতীর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।জীবন ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে দেশকে রক্ষা করে বিএসএফ। সীমান্তে বিএসএফ জাগ্রত থাকে বলেই নিশ্চিন্তে রাত্রি যাপন করে দেশের মানুষ। কিন্তু দেশের এই গর্বের বাহিনীর সুনামে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে খোদ বাহিনীর কিছু সংখ্যক রক্ষীরাই।তাদের মদতেই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটছে রাজ্যে। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে হাতেনাতে। তাও আবার সামান্য কিছু টাকার জন্য।ঘটনা রাজ্যের তেলিয়ামুড়ার রেলস্টেশন সংলগ্ন ইচারবিল এলাকায়। শিশু এবং নাবালিকা কন্যা সহ মোট ছয় জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে রেলে করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া ব্লু প্রিন্ট রচনা করেছিল কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান। জানিয়েছেন ইচারবিলের বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের কথায়, বিএসএফের ১০৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের চার জওয়ান একটি অটোতে করে ছয় জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে এসেছিল তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন লাগোয়া অঞ্চলে।তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশিদের রেলে করে দেশের অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়া।অটোটির পেছনে পেছনে বাইকে ছিলো জওয়ানরা। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে অটোটি ইচারবিলে আসতেই এলাকার লোকজনের সন্দেহে হয়। তখনই আটোটি ধাওয়া করে লোকজন।বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই জওয়ানরা আটোটিকে খোয়াইয়ের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়।
পুলিশের গাড়িতে চার বিএসএফ জওয়ান।
যদিও উপস্থিত বিএসএফ জওয়ান ঘটনা সত্যতার স্বীকার করে বলেছেন, “অটোতে আসা লোকজনের কাছে নাকি ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ ছিলো। তাই তারা ছেড়ে দিয়েছেন।”
।।বিএসএফ জওয়ানদের বাইক।।
উত্তেজিত জনতা বিএসএফ জওয়ানদের ঘেরাও করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে আটক করে জওয়ানদের।পুলিশ মুহূর্তেই জাল বিস্তার করে আটক করে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে যায় থানায়।
ইচারবিলে উত্তেজিত জনতার চক্রব্যূহে জওয়ানরা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রতিদিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ভারত বিরোধী শক্তি।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ? বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে চলতে থাকা সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা পৌঁছে গিয়েছে আমেরিকার হোয়াইট হাউসে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রতিদিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ভারত বিরোধী শক্তি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কি বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করবে?
তারপরও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের জন্য এতো প্রেম কেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাংশ জওয়ানের? তারা শুধু মাত্র কয়েকটি কাগজের নোটের জন্য বিপদের মুখে ঢেলে দিচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্বকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কি বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করবে? এই সংক্রান্ত নানান প্রশ্ন উঠছে জনমনে ।
