ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪মে।। বাম জমানায় মাদক কারবারের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে গিয়েছিল রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের একটা অংশ। তালিকায় ছিলেন কনস্টেবল থেকে এসপি স্তরের অফিসাররা।২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মাদক কারবারের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের মৌচাকের বাসার ঢিল ছুড়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মাদক কারবারে সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শতাধিক পুলিশ ও টিএসআর কর্মীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। গ্রেফতার করা হয়েছিলো ডজন খানেক পুলিশ ও টিএসআরকে। তাদের মধ্যে ছিলেন অফিসারও। তৎকালীন সময়ে এএই ঘটনার পর পুলিশ কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিস্তার করেছিলো। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই এই আতঙ্ক কর্পুরের মতো উবে যায়। মাদক কারবারের গিয়ার বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ। ব্যবসার জড়িয়ে যায় খোদ শাসক দলীয় নেতা – কর্মীরা।তাতে পোয়া বারো হয়ে যায় মাদক কারবারের টাকায় জিহ্ববা লক লক করা পুলিশ কর্মীদের।
বিপ্লব কুমার দেবের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী অপরাধ দমনে পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু একাংশ পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে মান্যতাই দিচ্ছে না।বরং তারা অপরাধ ও অপরাধীকে উৎসাহ দিচ্ছে। তার দৃষ্টান্ত মাদক কারবারের বর্তমান সিনারিও।
পুলিশ অফিসার বিশ্বজিৎ দেববর্মা থেকে শুরু করে রাজকুমার জমাতিয়া, ধ্রুব মজুমদার সহ আরও অনেক পুলিশ কর্মী এখন চুটিয়ে ব্যবসা করছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বাম জমানায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মীরা এখন সরাসরি রাস্তায় নেমে কাজ করছে। পুলিশ অফিসার বিশ্বজিৎ দেববর্মা থেকে শুরু করে রাজকুমার জমাতিয়া, ধ্রুব মজুমদাররা এখন চুটিয়ে ব্যবসা করছে।তাদের মতো শতাধিক পুলিশ কর্মী রয়েছেন, যারা খাকি ঊর্ধি গায়ে দিয়ে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।তাদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মাদক কারবারের গোটা সিন্ডিকেট। পুলিশ – রাজনৈতিক নেতা ও মাদক মাফিয়াদের ত্রিবেণী সঙ্গমে রাজ্য জুড়ে মাদক বাণিজ্য চলছে রমরমিয়ে।
মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মীদের বুকের সিনা এখন ৫৬ ইঞ্চি হয়ে গেছে।
সাব্রুম থেকে ধর্মনগর রাজ্যের সর্বত্র একই দৃশ্য। গোটা মাদক কারবারের ঠিকা এখন পুলিশ কর্মীদের হাতে। তাদের এই শক্ত নেট ওয়ার্কের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে ব্যবসা। পুলিশ কর্মীদের এতো সাহস কেন? অভিযোগ, মাদক কারবারের কমিশন এখন সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশ সদর দফতরেও। স্বাভাবিক ভাবেই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মীদের বুকের সিনা এখন ৫৬ ইঞ্চি হয়ে গেছে। তারা বুঝে গিয়েছে মাদক কারবারের অলিন্দ থেকে কাঞ্চনমূল্য সংগ্রহ করে দফতরের বাবুদের পকেটে দিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে। তাই একেবারে কনস্টেবল থেকে এসপি স্তরের অফিসাররা প্রকাশ্যে জড়িয়ে গিয়েছে মাদক কারবারের সঙ্গে। তারা আবার ফিরিয়ে এনেছেন বাম জামানার সেই পুরনো সংস্কৃতি।