রাজ্য পুলিশের মহিলা পুলিশ আধিকারিক সোনামুড়া মহাকুমার সমস্ত মাদক দস্যুদের টেক্স দেওয়ার জন্য ফরমান পাঠিয়েছেন। মাদক দস্যুদের কাছে এই ফরমান নিয়ে যান ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক ইন্সপেক্টর। প্রতিমাসের সোনামুড়া মহকুমার বড়, মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য টেক্স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্টার,৫ জুন।।
                        ধর্মনগর থেকে সাব্রুম – গোটা রাজ্য জুড়েই মাদক সাম্রাজ্য। মাদক বাণিজ্য লাগাম টানতে ব্যর্থ পুলিশ। তার পেছনে অন্যতম কারণ সর্ষের মধ্যেই ভূত। আভিযোগ, এই মুহূর্তে মাদক কারবারীদের কাছ থেকে তোলা আদায় করছেন রাজ্য পুলিশের এক মহিলা আধিকারিক (টিপিএস)। অবশ্যই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একজন ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট থেকে কাঞ্চনমূল্য সংগ্রহ করছেন ‘ম্যাডাম”পুলিশ।

রাজ্যের মাদক সিন্ডিকেটের খবর অনুযায়ী, রাজ্য পুলিশের মহিলা পুলিশ আধিকারিক সোনামুড়া মহাকুমার সমস্ত মাদক দস্যুদের টেক্স দেওয়ার জন্য ফরমান পাঠিয়েছেন। মাদক দস্যুদের কাছে এই ফরমান নিয়ে যান ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক ইন্সপেক্টর। প্রতিমাসের সোনামুড়া মহাকুমার্ বড়, মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য টেক্স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের গাঁজা চাষীদের উপরও লাগু করা হয়েছে টেক্স। চাষীদের গাছ প্রতি তিন টাকা করে ধার্য করা হয়েছে।  চাষীদের ক্ষেত্রে থাকা গাঁজার চারা গণনা করে টাকা নিয়ে আসেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর। তিনি টাকা এনে তুলে দেন টিপিএস ম্যাডামের কাছে।
            


তথ্য অনুযায়ী, গাঁজা চাষী ব্যতীত বাদবাকি ব্যবসায়ীদের প্রতি চালানে থাকা গাঁজার পরিমাণের উপর টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে পাঁচশ টাকা। সোনামুড়া মহকুমা থেকে বহিঃ রাজ্যে গাঁজা রপ্তানী করা ব্যবসায়ীরা এই দরে টিপিএস ম্যাডমকে কাঞ্চনমূল্য দেন। তবে আদায়কারী হিসাবে ভূমিকা পালন করে থাকেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টরই।
গত কয়েকমাস ধরেই সোনামুড়া মহকুমা থেকে তোলা আদায় করছেন টিপিএস ম্যাডম ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের।ইন্সপেক্টর।
 



রাজ্যের সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের অভয় পেয়ে নিরাপদে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিনিময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশের লক্ষী ভান্ডারে।

সম্প্রতি রাজধানীর পুলিশ ১১ জন মাদক সেবনকারীকে গ্রেফতার করে নিজেদের সাফল্যের গীত গাঁথা তুলে ধরেন পশ্চিম জেলার এসপি কিরণ কুমার। সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের সাফল্যের জয় গান করেছেন।অথচ রাজ্যের সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের অভয় পেয়ে নিরাপদে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিনিময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশের লক্ষী ভান্ডারে। পুলিশ সাধারন মানুষের আই ওয়াসের জন্য মাদক সেবনকারীদের ধরে এনে করে ফটো শেসন। নিঃসন্দেহে এটা হাস্যকর। পশ্চিম জেলার এসপি কিরণ কুমার সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কি জানেন না টিপিএস ম্যাডাম ও তার ইন্সপেক্টরের তোলাবাজির ঘটনা?

#Tripura #Drugs #Business #Police #JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *