ডেস্ক রিপোর্ট,৬ডিসেম্বর।।
“শাসক দল,নির্বাচন কমিশন ও পুলিশে’র ত্রিবেণী সঙ্গমেই পুর ও নগর ভোট প্রহসনে পরিণত হয়েছে।”—বললেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। সোমবার মেলারমাঠ সিপিআইএমের রাজ্য সদর দপ্তরে একথা বলেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন,সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোট নিয়ে সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়।এই পর্যালোচনার বৈঠকে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ভোটের ৫০ শতাংশই ছাপ্পা ভোট। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মোতাবেক পুর ও নগর ভোটে মোট ভোট পড়েছে ৮১.৫৪শতাংশ। তার অর্ধেক ছাপ্পা ভোট।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্য, গোটা রাজ্যে প্রহসনাত্মক ভোট হওয়ার পরও দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন রাজ্যের শাসক দলের।কিন্তু কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর দেশের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের বিজেপি সরকারের প্রসঙ্গ টেনে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, বিজেপি সরকার ভিশন ডকুমেন্টের দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি।এখন শাসক দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।গোটা দলে অন্তর্কোন্দল।বর্তমানে রাজ্য বিজেপি পুরোপুরি ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
কমিউনিস্ট নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এম এল দে ও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভিএস যাদবকে এক হাত নেন।তিনি বলেন ভোটকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য নির্বাচন কমিশনার ও ডিজিপি’র বড় ভূমিকা ছিলো।তারজন্য তারা পেয়ে যান উপহারও। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এম এল দে’র চাকরি আরো দুই বাড়ানো হয়েছে।এবং ভিএস যাদবকে পুলিশের ডিজিপি’র দায়িত্বের পাশাপাশি দিল্লির ত্রিপুরা ভবনের রেসিডেন্ট কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন ডিজিপিকে ত্রিপুরা ভবনের রেসিডেন্ট কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনাও বিরল বলে মনে করেন তিনি।
