ডেস্ক রিপোর্টার,১১ডিসেম্বর।।
শাসক জোট বিজেপি-আইপিএফটি ও প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমকে চমকে দিয়ে এডিসি নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করেছিল তিপ্রামথা। তিপ্রামথার সুপ্রিমো এখন গুটি সাজাচ্ছেন ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবি তুলে পাহাড়ে জনজাতিদের ভোট ব্যাংক নিশ্চিত করতে ছুটে যান দিল্লিতে।সঙ্গে নিয়ে যান অনুগামীদের।অবশ্যই প্রদ্যুত কিশোরের দিল্লি সফরে সঙ্গী হয়েছিলো শাসক জোটের ছোট শরিক আইপিএফটি।
দিল্লির যন্তর মন্তরে দাঁড়িয়ে প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন বলেন, “ত্রিপুরাতে চলে পার্টিশনের রাজনীতি।এখানে বিজেপি-সিপিআইএম-কংগ্রেস নেই।শুধু আছেন আদিবাসী ও বাংলাদেশিরা।” প্রদ্যুত কিশোর এই কথা বলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জনজাতিদের ভোট ব্যাংক নিজেদের দিকে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জনজাতিদের ভাবাবেগকে পুঁজি করে ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের পাহাড়ের কুড়িটি আসনে মোট জনজাতি ভোটের নব্বই শতাংশ তিপ্রামথার দখলে রাখার কৌশল নিয়েছেন প্রদ্যুত।তার জন্য তিনি প্রয়োজনে বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করতেও যেন পিছপা হবেন না। আর এটাই হবে বিধানসভা ভোটে প্রদ্যুত কিশোরের ট্রাম কার্ড।
তিপ্রামথার অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক তুল্যমূল্য বিচার করে দেখেছে পাহাড়ের কুড়িটি আসনে জনজাতি ভোট মূল ফ্যাক্টর।প্রতিটি আসনে বাঙালি ভোট থাকলেও এই ভোটগুলির মেরুকরণ হবে চার ভাবে।কিন্তু পাহাড়ে ঠিক ভাবে জাত্যাভিমান ইস্যুকে জ্বালিয়ে দিতে পারলে কেল্লা ফতে।এই ভোটের মেরুকরণ হবে খুব কম।সিংহ-ভাগ ভোট ধরে রাখা যাবে নিজেদের দিকে। বড় জোর মোট উপজাতি ভোটের দশ শতাংশ ভোটে ঘটতে পারে মেরুকরণ।এক্ষেত্রে পুরো জনজাতি ভোট নিজেদের দিকে ধরে রাখা খুব বেশি সমস্যা হবে না প্রদ্যুত কিশোরের জন্য। এই অঙ্ক ঠিকঠাক থাকলে বিধানসভা ভোটে কুড়িটি আসন ধরে রেখে বাজিমাত করতে পারবে প্রদ্যুত কিশোর।বলছেন রাজনীতিকরা।
তিপ্রার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর বিলক্ষণ বুঝতে পেয়েছেন রাজনীতির এই অঙ্ক।এই কারণেই তিনি দেশের রাজধানীতে দাঁড়িতে জাত্যাভিমানকে উস্কে দিয়ে নিজের রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি করার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছেন। তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।কারণ প্রদ্যুত কিশোরের উস্কানি মূলক বক্তব্যে যেকোনো সময় রাজ্যের পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।
