ডেস্ক রিপোর্টার,১২ ডিসেম্বর।।
আগামী ১৪ মাসের মধ্যেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন।এবং শেষ হবে নির্বাচনের গণনা। ২৩-র মহারণকে সামনে রেখে ঘর গুছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।সেমিফাইনাল অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটে বিরোধীদের ক্লিন সুইপ করে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে কোন দিকে গড়াচ্ছে রাজ্য রাজনীতির জল।
সেমিফাইনালে বিশাল জয়ের পর ফাইনাল নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করছে শাসক দল বিজেপি।তারা সেমিফাইনালের জয়ের আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ।গত ১০ডিসেম্বর দেশের রাজধানী দিল্লিতে ২৩-র ফাইনালের খুঁটি পূজো দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি মানিক সাহা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে একশ শতাংশ ফেভারিট হিসাবেই রাজনীতিতে ২২গজে অবতীর্ণ হবে বিজেপি।তার জন্য প্রস্তুত দল।শুধু কি তাই, মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের বিজেপি দখল করবে রাজ্যের মসনদ।মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে কোনো শক্তিই আটকাতে পারবে না ২৩-র মেগা ভোট যুদ্ধে।
প্রদেশ বিজেপি সূত্রের খবর, পুর ও নগর ভোটের পর সময় নষ্ট না করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।একেবারে বুথস্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত।সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে দলেরনেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আরো সমন্বয় বাড়াতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে শাসক শিবির। বিভিন্ন বুথে মানুষের সঙ্গে জন সংযোগ বাড়ানো এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে হাই-কমান্ড। নির্দেশ অনুযায়ী চলছে কার্যকলাপ।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ২৩-র জন্য গেরুয়া শিবির মাঠে নামতেই মাথা ঘুরছে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম ও সদ্য গজিয়ে উঠা তৃণমূল কংগ্রেসের।কারণ পুর ও নগর ভোটে গো-হারার রেশ এখনো কেটে উঠতে পারেনি লাল-সবুজ শিবির। বাস্তব অর্থে সবুজ শিবিরের কোনো ভিত্তি নেই রাজ্যে।এবং লাল শিবির ধুঁকছে সাংগঠনিক ভাবে। তাই ২৩-র বৈতরণী অতিক্রম করা বিজেপি’র পক্ষে কোনো ফ্যাক্টর নয় বলেই জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *