বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনকে বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ফোন।নাড্ডা কি বলেছেন সুদীপকে তা নিয়ে বিধায়কের মুখে কুলুপ।তাহলে জে পি নাড্ডা কি দলের অনুশাসন মেনে সুদীপকে চলার নির্দেশ দিয়েছেন? নাকি প্রদেশ বিজেপিতে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন? তা নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের ঘনিষ্ঠ মহল থেকেই এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে একের পর এক ক্লাইম্যাক্স।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব,প্রদেশ বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা, রাজ্য বিজেপির সংগঠনমন্ত্রী কিশোর বর্মন সহ রাজ্যপালের দিল্লি সফর রাজনৈতিক ভাবে ছিলো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।রাজ্যের নানান ক্ষেত্রে উন্নয়নের ইস্যু সহ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও রদবদল নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির একাংশ বিধায়কের পোস্ট করা বক্তব্যে “জল” আরো ঘোলা হয়।বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় মানুষ। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়ে দেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উপরই আস্তা রাখছেন।
বিজেপি’র ঘরোয়া রাজনীতিতে যখন নানান কানাঘুসু চলছে যখনই তাতে নতুন মাত্রা দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা গত ১৬ জুলাই বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ সুদীপ রায় বর্মনকে ফোন করেছেন।প্রায় ২০মিনিট দুই নেতার মধ্যে বার্তালাপ হয়।কিন্তু জেপি নাড্ডা সুদীপ রায় বর্মনকে কি বলেছেন?এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এটে রেখেছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
সুদীপের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, গত ১৬ জুলাই বিকালে জেপি নাড্ডার ফোনের পরই নাকি সুদীপ রায় বর্মন উদয়পুর মাতা বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সুদীপকে জেপি নাড্ডার ফোনের খবর পৌঁছে যায় শহর দক্ষিণের অপর বিধায়ক রাম প্রসাদ পালের কাছে। শনিবার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও রাম প্রাসাদ পাল উভয়েই গিয়েছিলেন উদয়পুর মা ত্রিপুরা সুন্দরীকে দর্শন করতে। একই দিনে সুদীপ রায় বর্মন ও রাম প্রসাদ পালের মাতা বাড়ি যাত্রা রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কেন ফোন করেছেন সুদীপ রায় বর্মনকে? তা নিয়েও দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে অসংখ্য প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *