কৈলাশহর ডেস্ক,২১জুলাই
বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত কৈলাশহর। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করে।ভেঙে দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের প্রায় পঞ্চাশটি মোটর বাইক। আহত হয় দুই টিএমসি কর্মী।অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের।বিজেপির পাল্টা দাবি,কৈলাশহরে বিজেপির কোনো লোকজন টিএমসির কর্মী সমর্থকদের আক্রমণ করেনি।পুরো ঘটনা টিএমসির দলীয় আন্তর্কোন্দলের কারণে।
প্রতি বছরের মত এবারও ২১জুলাই গোটা বাংলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস পালন করছে “শহীদ স্মরণে”। এবার বাংলার “শহীদ স্মরণে”র আচ পড়েছে ত্রিপুরায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল ভাষণ শুনানোর কথা ছিলো রাজ্যে।কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্য প্রশাসন তৃণমূলকে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর অনুমতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও রাজ্যে “শহীদ স্মরণে” অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মঙ্গলবার রাত থেকে কাজ শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে।মঙ্গলবার রাতে কৈলাশহরেও চলছিলো প্রস্তুতি। এদিন রাতে কৈলাশহর সার্কিট হাউসে জড়ো হয়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এদিন রাতেই প্রদেশ
তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশীষ লাল সিংহ যান কৈলাশহরে। তৃণমূলের অভিযোগ,সভাপতি পৌঁছার আগেই বিজেপি আশ্রিত ৫০-৬০জন যুবক রড, লাঠি নিয়ে হাজির হয় সার্কিট হাউসে।তখন সার্কিট হাউসে উপস্থিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারধর শুরু করে। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশীষ লাল সিংহ বলেন, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের প্রায় পঞ্চাশটি মোটর বাইক ভেঙে দেয়।সবগুলি বাইক ছিল কৈলাশহর সার্কিট হাউসে সামনেই।বহু বাইক থেকে তেল খোলে ফেলে দেয় বিজেপি’র দুষ্কৃতীরা।”
তৃণমূল সভাপতি আশীষ লাল সিংহ জানিয়েছেন, বুধবার সকালে “শহীদ স্মরণে” উপলক্ষ্যে দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ।তার পরও তারা দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।”
পতাকা উত্তোলন কেন্দ্র করে গৌর নগরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।এরপর পুলিশ তৃণমূল সভাপতি সহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ।তাদের নিয়ে আসে কৈলাশহরের টাউন হলে।
