ডেস্ক রিপোর্টার, ৫ আগস্ট:
২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন।
প্রদ্যোত যে দিকে ঝুঁকবেন পাল্লা ভারী থাকবে সেই দিকেই।এই সহজ সত্য বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না কাউর।
রাজ্য রাজনীতিতে প্রদ্যুত কিশোরের এই গুরুত্ব অনুধাবন করেই তাঁর দরবারে হাজির হলেন তৃনমূল নেতা কুনাল ঘোষ।বুধবার কুনাল যান প্রদ্যোত কিশোরের বাড়িতে।দুইজনেই কথা বলেন দীর্ঘ সময়। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জীর উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রদ্যোত কিশোর।
তার কথায়, “গত ৪০ বছর ধরে ত্রিপুরার গৌরব আর ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে আসছে।”
সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে সর্ব ভারতীয় তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী বলেছিলেন, ” বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে একজোট হতেই হবে। তাহলে কি সেই জোটে হাত মেলাবে প্রদ্যোত কিশোরের তিপ্রা?
তিপ্রামথার মুখিয়ার বক্তব্য, “বামেরা ছাড়া সকলের সঙ্গেই জোট হতে পারে। কোনও ভাবেই তিনি বামেদের দিকে যাবেন না।”
প্রদ্যোতের এই বক্তব্যের পর তাঁর বাড়িতে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের যাওয়া রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশারাদরা।
গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’র দাবিকে সামনে রেখেই সদ্য সমাপ্ত এডিসি নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলো তিপ্রামথা। সঙ্গে রাজ্যে এন আর সি লাগু এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার। প্রদ্যোত কিশোর স্পস্ট করে এটা বলেছেন,যে রাজনৈতিক দল তাদের দাবি পূরণ করবে,তাদের পাশে থাকবে তিপ্রামথা।
রাজনীতিকদের প্রশ্ন,যদি প্রদ্যোত তৃনমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে তাহলে কি টিএমসি প্রদ্যোত দাবি মেনে নেবে? যদি তাই হয়,তাহলে কিন্তু পাল্টা ধাক্কা খাওয়া সম্ভাবনা থাকবে তৃণমূলের।কেননা রাজ্যে ৩১ শতাংশ ভোটার জনজাতি সম্প্রদায়ের। বিধানসভার ২০টি আসনে তারা ফ্যাক্টর।৬৯ শতাংশ অনুপজাতি। তারা এনআরসির বিরোধিতায় সরব।এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে। অর্থাৎ প্রদ্যোত এক মেরুতে এবং অপর মেরুতে রাজ্যের বাঙালিরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনজাতি ও অনুপজাতি ভোট দুইটাই কিভাবে ধরে রাখবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে প্রদ্যোতের বাড়িতে কুনাল ঘোষের যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে কিন্তু বিজেপিকেও। তৃনমূল ও প্রদ্যোতের
এই নতুন সমীকরণ যদি সফল হয় তাহলে বিপদের আচ লাগতে পারে বিজেপির ঘরেও।বলছেন রাজনীতিকরা।
