আগরতলা, ৭অক্টোবর।।
   একাদশীর সন্ধ্যায় শুক্রবার আগরতলা শহর প্রত্যক্ষ করল এক বর্ণময় আনন্দযাত্রা। মায়ের গমন- ২০২২ উপলক্ষে বিভিন্ন ক্লাবের দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনে মেতে উঠল শহর আগরতলা। ঢাকের বাজনা, জনজাতি নৃত্য ও লোকনৃত্যের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হল ঐতিহ্যের এই শহর। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবারই প্রথম শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীকে স্মরণীয় করে রাখতে মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে মায়ের গমন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মায়ের গমন অনুষ্ঠানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী  ডা: মানিক সাহা বলেন, কোভিড অতিমারির কারণে বিগত দু’বছর দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর বিসজন সেভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেনি। এবার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে দুর্গাপূজার বিসর্জন উপলক্ষে মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুষ্ঠুভাবে আগরতলার ক্লাবগুলির প্রতিমা নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার রাজ্যের চিরন্তন সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সরকারের চিন্তাভাবনাকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সফল করার আহ্বান জানান।



অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, দুর্গাপূজা রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। জাতপাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষ এই উৎসবে অংশ গ্রহণ করে দুর্গা মায়ের নিকট সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী সমাজের প্রার্থনা করেন।


তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যের উৎসবের মেজাজকে আরও সুদৃঢ় করতে “মায়ের গমন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন। একটা প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনকে স্মরণীয় করে রাখাই এই অনুষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য। আগামী দিনে আগরতলা শহর ছাড়াও জেলা ও মহকুমা শহরেও এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী এধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে আগরতলা পুরনিগম, আরক্ষা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তর যেভাবে সহযোগিতা করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।


কার্নিভাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, এডিজিপি সৌরভ ত্রিপাঠি, ওএনজিসি’র অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিক, আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব, ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস প্রমুখ।
   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *