ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে বিশালগড়ে জয়দীপ- জয়দুলের পৃথক কর্মসূচি। প্রশ্নচিহ্নের মধ্যে কংগ্রেসের ঐক্য!

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
            বিশালগড়ে ফের প্রকাশ্যে এলো কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। সোমবার ছিলো দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস। ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস পালিত হলো বিশালগড়ের দুই জায়গাতে। দলের কর্মী সমর্থকরা ভাগ হয়ে গেল দুই ভাগে। এক অংশ ছিল সুদীপ রায় বর্মনের ভাই জয়দীপ বর্মনের সঙ্গে। অপর অংশ ছিলো স্থানীয়  কংগ্রেস নেতা জয়দুল হোসেনের সঙ্গে। স্বাভাবিক ভাবেই বিশালগড় কংগ্রেসে এই অবস্থা দেখে দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে ফের ভেসে উঠলো দলের কাকড়া সংস্কৃতির চিত্র। অর্থাৎ এখনো কংগ্রেসের যে কোনো চরিত্র বদল হয় নি, তা প্রকট হয়ে উঠলো।
            হালের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা হলেও মূলত কংগ্রেসের ব্যাটন সুদীপ রায় বর্মনের হাতেই। এবং সুদীপকে সামনে রেখেই ভোটের কৌশল করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বর্তমান কংগ্রেসকে বকলমে “সুদীপ কংগ্রেস” বললেও ভুল হবে না। কারণ সুদীপ বুঝিয়ে দিয়েছেন তার কারণেই প্রদেশ কংগ্রেসের মরা গাঙে জল এসেছে। একথা স্বীকার করতে বাধ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।
            বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই জন্যই বীরজিত, গোপাল,সুদীপ আশীষরা একমঞ্চে এসে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজ্যজুড়েই নানান কর্মসূচিতে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস কেন্দ্র করে বিশাল করে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী।
            এই মুহূর্তে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম দুই দাবিদার জয়দীপ বর্মন ও জয়দুল হোসেন। জয়দীপ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন এবং বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের ভাই। এতদিন তিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জয়দীপ বর্মনকে বিশালগড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। একসময় জয়দীপের পিতা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন বিশালগড়ের বিধায়ক ছিলেন। এখন জয়দীপ  বর্মন ২৩র নির্বাচনে বিশালগড় থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করার জন্য গুটি সাজাচ্ছেন।
             অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মনের দীর্ঘদিনের অনুগামী। বলতে গেলে ছায়া সঙ্গী। তিনি জয়দুল হোসেন। শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও জয়দুল কংগ্রেসের টিকিটে বিশালগড় থেকে লড়াই করেছিলেন। বিশালগড়ই জয়দুলের রাজনীতির অঙ্গন। জয়দুল হোসেনও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিশালগড় থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
             ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়ান দিবসে জয়দুল হোসেন ও জয়দীপ বর্মন পৃথকভাবে বিশালগড়ে কর্মসূচি করাতে  খটকা লাগে দলীয় কর্মী-  সমর্থকদের মধ্যে। তাদের প্রশ্ন, তাহলে কি ফের বিশালগড়ে কংগ্রেস রাজনীতিতে ফের গোষ্ঠী কোন্দলের সম্ভাবনা চাগার দিয়েছে? এটা অবশ্যই কংগ্রেসের জন্য ভাল লক্ষণ নয়।