ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
            রাজধানীর নতুন নগর গুলী কাণ্ডের এক পক্ষ কাল পরেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে ঘটনার দুই মাস্টার মাইন্ড রাজু বর্মন ও বিমান দাস। অনুসন্ধানকারী পুলিশের দাবি, এরা পলাতক। কিন্তু এলাকার মানুষের কথায়, রাজু – বিমানরা এলাকাতেই ঘুরাফেরা করছে।তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না।কারণ তারা আছে “পলিটিক্যাল শেলটারে”।
            ঊষা বাজারের মধুর ভান্ড হিসাবে পরিচিত সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশনের দুই পান্ডা তথা নতুনবাজার গুলী কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড রাজু ও বিমান এখন বাঁচার জন্য রাজ্য রাজনীতির চাণক্যের দ্বারস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা আছে চাণক্য সাহেবের আশ্রয়-পশ্রয়েই। খবর নিগোসিয়েশন কারবারের অন্দর মহলের।

দুই অভিযুক্ত রাজু বর্মন ও বিমান দাস।

সূত্রের দাবি, চাণক্য সাহেব গুলি কান্ডের মূল পান্ডা রাজু ও বিমানের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। ভোটের বাজারে তাকে ১০ লক্ষ টাকা দিলে বিমান- রাজুকে এই যাত্রায় তিনি বাঁচিয়ে দেবেন । চাণক্যের এই কথা শুনে গদগদ করে উঠে দুই সমাজদ্রোহী। তারা চাণক্যের প্রস্তাবে রাজি হয়। সোমবার রাতে রাজু বিমানের দূত চাণক্যের গোপন ডেরায় পৌঁছে যায় এবং চাহিদা অনুযায়ী চাণক্যের হাতে ১০ লক্ষ টাকা সঁপে দেয়। চাণক্য নাকি  রাজু –  বিমানদের দূতকে জানিয়ে দিয়েছেন, দিনের বেলা এলাকা থেকে সরে থাকতে। রাতের আঁধারে তারা বাড়ির আশপাশে এসে থাকলেও পুলিশ কিছুই করবে না। চলতি মাসের ২০ তারিখের পর তাদের আর কোন সমস্যা হবে না। চলে আসতে পারবে বাড়িতে।  ততদিনে আগাম জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করারও পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য।


খবর অনুযায়ী, নতুন নগর গুলি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া  প্রভাকর ঘোষ ও সন্তোষ দাসের কাছ থেকে তদন্তকারী পুলিশ তেমন কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। রাজু –  বিমানরা সরাসরি গুলি কাণ্ডে জড়িত, এখন পর্যন্ত নাকি পুলিশ এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। চাণক্যের পক্ষ থেকে সমাজদ্রোহী রাজু-বিমানদের এই বার্তা দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া পুলিশ আর কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। বাস্তবে রাজনৈতিক কারণে পুলিশ গুলি কান্ডের তদন্তের গতি একেবারেই কমিয়ে দেয়। বলতে গেলে এই মুহূর্তে পুলিশি তদন্তের মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজু-  বিমানদের এই ঘটনা থেকে বাঁচিয়ে দিতে আধা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন রাজ্য রাজনীতির চাণক্য।


খবর, তার জন্য সমাজদ্রোহীদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছেন। টাকার অঙ্ক ১০লক্ষ্।লেনদেনও শেষ।এখন শুধু কারসাজি করে পুলিশকে চোখ রাঙানি দিয়ে বসিয়ে রাখা। পরে আইন অনুযায়ী, আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের দখল নেবে মধুর  ভান্ডের। এবং নেতা – নেত্রীদের ঘরে পৌঁছে দেবে মাসোয়ারা।



চাণক্য যে অনেক কিছুই করতে পারেন তা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছেন এ রাজ্যের মানুষ। কারণ মোহনপুরে নৃশংস ভাবে ধর্ষনের পর পুড়িয়ে খুন করা হয়েছিল মন্টি নামে এক যুবতীকে। চাপের মুখে পুলিশ একমাত্র খুনিকে গ্রেফতার করেছিল নাম মাত্র। শেষে গোপনে তদন্ত শেষ করে ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে জমা করেছিলো পুলিশ। মামলাও হয়ে যায় ক্লোজ চ্যাপ্টার। মন্টি হত্যাকান্ডের মতোই নতুন নগর গুলী কাণ্ডও খুব শীঘ্রই যে ক্লোজ চাপ্টারের তকমা লাগবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *