ডেস্ক রিপোর্টার,২২জানুয়ারি।।
      ভোটের মুখে বিজেপিতে অন্তরদ্বন্দ্ব!তা প্রকাশ্যে এলো টুইটারে। মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে গিয়ে সভাপতিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হলো।পোষ্টার থেকে মুছে দেওয়া হলো রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের ছবি।টুইটারে একাজটি সুনিপুণ ভাবে করেছেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নবাদল বণিক।
  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সম্প্রতি রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের ১২শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর বিজেপি ত্রিপুরা টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করা হয়েছিল। সঙ্গে  ছিলো একটি ছবি।এই ছবিতে ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা, উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ।
    বিজেপি ত্রিপুরার এই টুইটের পর রি-টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি নবাদল বণিক। কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার জন্য তিনিও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সঙ্গে একটি স্টিকার পোস্ট করেছেন। তাতে আছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ও উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন।কিন্তু নেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যর ছবি।


কি হাস্যকর। একে বারে দৃষ্টিকটু ।বিজেপি ত্রিপুরা টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করা ছবি ও নবাদল বনিকের টুইট করা ছবির  গ্রাফিক্স হুবহু।  স্টিকার থেকে শুধু মাত্র রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যর ছবি মুছে দেওয়া  হয়েছে।  ছবি দুইটি দেখে স্পষ্ট রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যর ছবি ইচ্ছাকৃত ভাবে এডিট করে মুছে দেওয়া হয়েছে। সেই স্টিকার ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন নবাদল বণিক। অজ্ঞ মানুষদের পক্ষেও তা বুঝতে অসুবিধা হবে না।
      বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী,পোস্টারে সভাপতির ছবি থাকা আবশ্যক।কিন্তু যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নবাদল বণিক কি তা জানেন না।?  তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যাক,তিনি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যর ছবি এডিট করেন নি।শুধু মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী স্টিকার সাটানো ছবি তিনি দিয়েছিলেন টুইটারে।তাহলেও তো প্রশ্ন আসে, যুব মোর্চার সভাপতি নবাদল বনিক দলের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে অবগত নন? যদি না হন,তাহলে তো নবাদলকে প্রথমে বিজেপির সংবিধান পড়াশুনা করা দরকার। এটা অবশ্যই রাজ্যের একজন যুব নেতার জন্য লজ্জাস্কর।
     “ঠাকুর ঘরে কে রে,আমি কলা খাইছি না। বাংলার এই প্রবাদের মতোই হয়ে গেলো নবাদল বণিকের এই টুইটার পোস্ট।
  


রাজনীতিকরা এই টুইটার পোস্ট বিশ্লেষণ করে বুঝতে পেরেছেন, বাস্তবে নবাদল বণিকের এই টুইট প্রমাণ করে রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্তরেও উপ দলে বিভক্ত। নবাদল মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহাকে খুশি করতে গিয়ে স্টিকার থেকে মুছে দিলেন রাজ্য সভাপতিকে।আসলে নবাদল বণিকের মতো নব্য ও রূপান্তরিত বিজেপির কাছ থেকে কি ই বা আশা করতে পারেন বিজেপির দুর্দিনের পুরানো সৈনিক সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *