ডেস্ক রিপোর্টার, ১০ফেব্রুয়ারি।।
                   তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।করেছেন পদ যাত্রা। এবং জনসভা। সবটাই ছিলো ছন্ন ছাড়া।রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিচ্ছিরি অবস্থা দেখে লজ্জায় মুখও ডাকতে পারলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থা দেখে চটে যান মমতা।এবং নির্বাচনের পর দলের পাততারি গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।একই সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব ব্যানার্জি, পিযুষ কান্তি বিশ্বাসের চাকরি নট করার মৌখিক নির্দেশও দিয়েছেন। সঙ্গে অবশ্যই আই – প্যাক।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মাটিতে পা দিয়েই বুঝতে পারেন তার দলের বাঘা বাঘা (!) নেতাদের কোনো বেইল নেই।
                   মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ যাত্রা ও সভায় সহস্র লোকও জড়ো করতে পারেনি পিযুষ,সুস্মিতা , রাজীবরা।আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সফরের দিনই জির্ণ তৃণমূলের একাংশ নেতা গণহারে দল ত্যাগ করেন।এই খবর রয়েছে খোদ মমতার কাছে।তার জন্য অবশ্যই দায়ী রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, তা তো হবেই।কেননা, সুস্মিতা দেব এখানের সংগঠন দেখছে।অথচ অসম রাজনীতিতে তার কোনো স্থান নেই।নিজের জায়গাতে বেইল না থাকায় তিনি এখানে এসেছেন।সংগঠন করার পরিবর্তে লুঠছেন টাকা। পিযুষ কান্তি বিশ্বাস।তিনি দলের সভাপতি।তার সঙ্গে নেই দশ জন। রাজনীতির বাজারে পিযুষ সুপার ফ্লপ।ভাগ্য জুড়ে বাঘ নেই বনে শেয়াল রাজা হওয়ার মতো তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি হয়েছিলেন। তার ছেলে পুজন বিশ্বাসের সঙ্গে নেই দুই আনা অনুগামী।তাকে অন্ধ পুত্র স্নেহে থাকা পিযুষ করে দিয়েছিলেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি।এখন  তৃণমূল কংগ্রেসেও একই অবস্থা।বাবা সভাপতি।আর ছেলে সাধারণ সম্পাদক।স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মতো নেতাদের দিয়ে ত্রিপুরায় স্বপ্ন যে সাকার হবে না।ত ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায।এই কারণেই ভাইপো অভিষেককে নির্দেশ দিয়েছেন  নির্বাচনের পর  ত্রিপুরা থেকে দলের ঘটি লুট গুছিয়ে নিতে।
        তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, সুস্মিতা – পিযুষ – রাজীবরা টাকার বিনিময়ে দলের প্রার্থী দিয়েছেন।একজন প্রার্থীকে দল যা টাকা দেবে,তার অর্ধেক নেতাদের দিয়ে দিতে হবে।এই শর্তে তারা প্রার্থী দিয়েছে।  লোকসভা নির্বাচনে সুবল ভৌমিক এই ফর্মুলাতেই প্রার্থী দিয়েছিলেন।এখন বিধানসভা নির্বাচনেও সুস্মিতা – রাজীবরা হাঁটলেন একই পথে। এই জন্য জন বিচ্ছিন্ন লোকজনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।এবং প্রত্যেকের হবে জামানত বাজেয়াপ্ত।রাজনীতিকদের চোখে ত্রিপুরার রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের এই চিত্র পরিষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *