
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
প্রত্যাশিত ভাবেই ধনপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।বুধবার তিনি প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাসের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা করেন। কিন্তু প্রতিমা ভৌমিকের পদত্যাগের পর পরই বিজেপির নলছড়ের বিধায়ক কিশোর বর্মণ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। কিশোর বর্মনের এই পোষ্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।
কিশোর বর্মণ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, “লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু”। কিশোর তার এই পোস্টের মাধ্যমে কি বুঝালেন? কাকে তিনি তীর ছুঁড়লেন? তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দর মহলে। নিন্দুকরা বলছেন, কিশোর বর্মণ বকলমে প্রতিমা ভৌমিকেই বুঝিয়েছেন। এবং করেছেন কৌতুকও। কারণ প্রতিমা ভৌমিকের সঙ্গে কিশোরের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়।

বিজেপির অন্দরের খবর, ২৩ র ভোটে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রতিমা ভৌমিককে নির্বাচনে লড়াই না করার কথা বলেছিল। ধনপুর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিশোর বর্মনকে প্রজেক্ট করার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু প্রতিমা ভৌমিক নাকি তা মানতে রাজী হয় নি। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রতিমা ভৌমিককে ধনপুরে টিকিট বাধ্য হয়।স্বাভাবিক ভাবেই কিশোর বর্মনকে নলছড়ে টিকিট দেয় বিজেপি। তা করতে গিয়ে নলছড়ের বিজেপির স্ট্যান্ডিং বিধায়ক সুভাষ দাসকে সরিয়ে দিতে হয়। এর ফলে নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল মাথা চাড়া দেয়। কিশোর ও সুভাষ দাসের মধ্যে সম্পর্কের অবনমন হয়। নলছড়ে বিজেপিতে এরকম পরিস্থিতি চাইছিলেন না কিশোর বর্মন।প্রতিমা ভৌমিক ধনপুর ছেড়ে দিলে নলছড়ে বিজেপিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
রাজনীতিকরা বলছেন, হয়তো বা এই কারণে কিশোর বর্মন নাম না করেই প্রতিমা ভৌমিককে তির্যক ভাষায় আক্রমণ করলেন। কিশোর আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিমা ভৌমিক অনেক কিছু আশা করেছিলেন।কিন্তু কিছু করতে পারেন নি। এটা বাস্তব, ২৩- র নির্বাচনে মানিক সাহার সঙ্গে প্রতিমা ভৌমিক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দৌঁড়ে।তাই প্রতিমা ভৌমিক বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর থেকে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। যদি তিনি জয়ী হন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসী জন্য প্রবল দাবিদার হয়ে উঠবেন। প্রতিমা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ঠিকই,কিন্তু দিল্লি নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আস্থা রেখেছিলেন ডা:মানিক সাহার উপর।তাই প্রতিমা ভৌমিকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন আপাতত বিলীন হয়ে গিয়েছে।কিছুদিন পর ধনপুর কেন্দ্রে ফের হবে নির্বাচন।