ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭মার্চ ।।
      “প্রদ্যুৎ কিশোর সারমেয়র বাচ্চা। ত্রিপুরাতে থাকার তার কোনো অধিকার নাই। তার শিলংয়ে যাওয়া উচিত।” খোদ জনজাতি যুবকরা প্রদ্যুৎ কিশোরকে এই ভাষায় গালি মন্দ করছে। প্রদ্যুৎ কিশোরকে গালাগাল করে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করেছে। এই ভিডিও এখন ভাইরাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুৎ কিশোরের বিরুদ্ধে পোস্ট করা এই ভিডিও রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।কারণ পাহাড়ে প্রদ্যুৎ কিশোর যে ধীরে ধীরে জিনভিত্তি হারাচ্ছে এটা প্রকট হয়ে গেছে। জনজাতিরা এখন আর আস্থা রাখতে পারছে না তাদের আদরের বুবাগ্রার উপর।
        রাজনীতিকরা বলছেন, ভোটের ফল ঘোষনার পর থেকেই প্রদ্যুৎ কিশোর তার রঙ পাল্টাচ্ছে। ভোটের আগে প্রদ্যুৎ কিশোর গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে ধনুর ভাঙ্গা পণ করেছিলেন। কিন্তু ভোটের গণনার পর প্রদ্যুৎ কিশোরের মুখে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড উধাও। প্রদ্যুৎ এখন ব্যস্ত সাংবিধানিক সমাধান নিয়ে। কথায় কথায় প্রদ্যুৎ বলছেন, তিনি এখন সাংবিধানিক সমাধান চান। হঠাৎ করে প্রদ্যুৎ কিশোরের এই পরিবর্তন মানতে পড়ছে না। জনজাতিরা। কারণ নির্বাচনের আগে প্রদ্যুৎ কিশোর গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের জিগির দিয়ে জনজাতিদের এক জোট করেছিলেন । এবং সহজ সরল জনজাতি অংশের মানুষের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে এডিসি নির্বাচনে পাহাড় দখল করে। এবং পরে বিধানসভা নির্বাচনে দখল করে ১৩টি আসন।
        রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের অন্তরালে প্রদ্যুৎ কিশোর এখন সাংবিধানিক সমাধানের নামে জনজাতিদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছেন। প্রদ্যুৎ কিশোরের এই কৌশল বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে সাধারণ জনজাতি অংশের মানুষ। রাজনৈতিক প্রাজ্ঞরা বলছেন, টিইউজেএস থেকে আইপিএফটি এবং হালের তিপ্রামথা প্রত্যেকেই এক দাবি নিয়ে এসেছিল রাজনীতির ময়দানে। তবে শুধু পরিবর্তন ছিলো পোশাকি নামে। কোনো দলের কাছে আন্দোলনের পোশাকি নাম ছিল স্বাধীন ত্রিপুরা বা স্বাধীন রাজ্য। আবার কাউর কাছে ছিলো পৃথকল্যান্ড বা তিপ্রাল্যান্ড।তবে প্রত্যেকে ছড়িয়ে যান প্রদ্যুৎ কিশোর।তিনি একে বারে দাবি তুলেন গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের। ম্যাপ অনুযায়ী যায় সীমানা ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশ, মিজোরাম ও অসমে। অর্থাৎ প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের জন্য ভারত সরকার আন্তর্জাতিক সীমানা বা আন্ত রাজ্য সীমানার কোনো হেরফের করবে না।বা কথা বলার জায়গাও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবী একেবারেই যুক্তিহীন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *