
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
চলতি মাসেই রাজ্যে অবশিষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস ছিন্নমূল হচ্ছে রাজ্যে। একেবারেই নিঃস্ব হবে মমতার তৃণমূল।মুছে যাবে রাজ্য রাজনীতির মানচিত্র থেকে। একা অসহায়ের মতো দাড়িয়ে থাকবে শহরের চিত্তরঞ্জন রুটের অফিস। এবং থাকবেনা মমতা – অভিষেকের নাম গন্ধ। একই সঙ্গে ধাক্কা লাগছে পোস্ট অফিস চৌমুহনীর কংগ্রেস ভবনেও।
রাজ্য রাজনীতিতে একেবারেই সঙ্গীন তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুই নেই তাদের।শুধু পড়ে ছিলো নির্যাস। এখন এই নির্যাস গুলিও মুছে যাচ্ছে চিরতরে। সারা রাজ্যের এখনো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় দুই হাজার কর্মী – সমর্থক রয়েছে। তারাই এতদিন ধরে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাটন।এখন তারাও আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।২৩- র নির্বাচন পর্যন্ত তারা ছিলো তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। এই সমস্ত তৃনমূলীরা এখন যোগ দেবে শাসক দল বিজেপিতে। তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক জনজাতি সম্প্রদায়ের কর্মীরা চলে যাবে তিপ্রামথাতে। অর্থাৎ তারা দল ছাড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের “নাম” উচ্চারণ করার জন্য ত্রিপুরায় কেউ থাকবে না।শহরের অফিসে বাতি জ্বালানোর জন্য থাকবে না কোনো লোক। মুর্দা কথা, হাওড়া – গোমতীর জলে চিরতরে বিসর্জন হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

খবর অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশীষ লাল সিংও যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।সম্প্রতি রাজ্য সরকার তার মা লক্ষ্মী সিংয়ের জন্য সরকারী আবাসন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আশীষ লালের পিতা ছিলেন রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিং।প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সহধর্মিনী হিসাবে লক্ষ্মীকে সরকারী অবসান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার জন্য সিং পরিবার ধন্যবাদ জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের কারণে আশীষ লাল তার কিছু অনুগামী নিয়ে যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও নাকি আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের খবর, রাজ্যে মমতার দলের বাতি নিভে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

রাজনৈতিক মহলের খবর, কংগ্রেসের লাগতে চলছে আঁচড়।কংগ্রেসের ক্ষুদ্র অংশ যোগ দেবে বিজেপিতে।তালিকায় থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েকজন প্রাক্তন নেতাও।

তারা নানান কারণে নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ। সব মিলিয়ে চলতি মাসে তৃণমূল ও কংগ্রেস শিবিরে বড় ধাক্কা দিতে চলছে শাসক দল বিজেপি। তার জন্য অবশ্যই বিজেপি নেতৃত্বের কোনো অবদান নেই। স্বেচ্ছায় তৃণমূলীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।