ডেস্ক রিপোর্টার,২১এপ্রিল।।
আসন্ন উপনির্বাচন কেন্দ্র করে প্রদেশ কংগ্রেসের জোটের প্রস্তাবে আপাতত পিছিয়ে গেলো রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম।এমন খবর রাজনৈতিক মহলে। স্বাভাবিক ভাবেই উপ-নির্বাচনে পৃথকভাবে লড়বে কংগ্রেস-সিপিআইএম। এক্ষেত্রে অবশ্যই অনেকটা নিরাপদে থাকতে পারবে শাসক দল বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের খবর, আসন্ন উপ নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রদেশ কংগ্রেস জোটের প্রস্তাব দিয়েছিলো মেলারমাঠকে।কিন্তু মেলারমাঠ সিপিআইএম সদর দপ্তর কংগ্রেসের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করে নি। বামেরা জোটে না গিয়ে একই লড়াই করবে। মেলারমাঠের পক্ষ থেকে পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসে যোগ দিয়েই সিপিআইএম কাছে টেনে আনার চেষ্টা করেছিলেন।তিনি সরাসরি বলেছিলেন সিপিআইএম শত্রু নয়। বরং বামেদের নিয়েই বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডাক দিয়েছিলেন।সুদীপ রায় বর্মনের এই বক্তব্যকে বামেরা নৈতিক ভাবে সমর্থন করলেই প্রকাশ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তারা যাবে না উপনির্বাচনে। বামেরাও ২৩-র আগে উপনির্বাচনে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছে। কারণ উপ নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে ২৩-র পালস বুঝতে পারবে বাম নেতৃত্ব।
গত বছর তিনেক আগেও বাধারঘাট উপনির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিআইএম কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেছিল।বার্তা দিয়েছিলো কংগ্রেস।কিন্তু সিপিআইএম তা গ্রহণ করেনি।শেষ পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি’র প্রার্থী মিমি মজুমদার জয়ী হয়েছিলেন।কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিলো কংগ্রেস – সিপিআইএমের মোট ভোট থেকে অনেক কম ভোট পেয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী তথা বর্তমান বিধায়িকা মিমি মজুমদার।
পূর্বের রাজনৈতিক অঙ্ক বিচার করেই চার কেন্দ্রের উপভোটে কংগ্রেস জোটের প্রস্তাব দিয়েছিল সিপিআইএমকে।কিন্তু এবারও রাজ্য সিপিআইএম কংগ্রেসের প্রস্তাব গ্রহণ করে নি। রাজনীতিকদের দাবি, ২৩-র মহারণের আগে বামেরাও নিজেদের শক্তি বুঝে নিতেই কংগ্রেসের প্রস্তাবকে আপাতত প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে উপভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিআইএম জোট করে কিনা।