ডেস্ক রিপোর্টার, ২২সেপ্টেম্বর।।
রাজ্য সভার একটি আসনের উপভোটে রাজনৈতিক ভাবে চমক দিয়েছে কংগ্রেস। একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন রাজ্য সভার উপভোটে ভোটাধিকার থেকে বিরত থাকলেন। এটা দিয়ে মূলত কংগ্রেস ২৩-র আগে দিয়েছে মাস্টার স্ট্রোক। বলছেন রাজনীতিকরা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিংহ ও কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনরা পরোক্ষ ভাবে বামেদের সঙ্গে জোটের বার্তা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।ঘুরিয়ে হলেও বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কংগ্রেসের দেওয়া প্রস্তাবকে স্বাগতই জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো ঘোষনা দেয় নি কোনো শিবির।বা আগামী দিনে কংগ্রেস -বিজেপি জোট হবে কিনা তা অবশ্য সময়েই বলবে।
কংগ্রেস রাজনীতির অন্দর মহলের খবর, রাজ্য সভার উপভোটে কংগ্রেস ভোট দানে বিরত থেকে বুঝিয়ে দিলো রাজনীতির ময়দানে বিজেপি -সিপিআইএমের উভয়ের সঙ্গে সমান দূরত্ব বজায় রাখলো। কারণ কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন যদি ভোট দিতেন,তাহলে সেই ভোট বামেদের পক্ষে যাওয়ার কথা ছিলো। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কোনো প্রশ্নই। কিন্তু কংগ্রেস ভোট দানে বিরত থেকে বুঝিয়ে দিলো বিজেপি ও সিপিআইএমকে কংগ্রেস একই দৃষ্টিতে দেখছে।। তাতে দলের কর্মী – সমর্থকদের কংগ্রেস বাম বিরোধী মনোভাব দেখাতে সম্ভব হয়েছে।
রাজনীতিকরা বলছেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব ভালো করেই জানেন, গত ২৫বছরের বাম জামানায় বহু রক্ত ঝরেছে কংগ্রেস কর্মী -সমর্থকদের।সেই দিন কিন্তু এখনো কংগ্রেস কর্মীরা ভুলে নি। একই ভাবে বিজেপির জামানতেও কংগ্রেস কর্মীদের পড়তে হচ্ছে আক্রমণের মুখে। অর্থাৎ কংগ্রেসের কাছ সবাই সমান। ২৩- এ কংগ্রেস- বাম জোট অনেক কংগ্রেস কর্মীই তা মানতে চাইবেন না। এটা বিলক্ষ বুঝতে পেরেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই দলীয় কর্মী সমর্থকদের ইমেজ ধরে রাখার জন্য কংগ্রেস রাজ্য সভার উপভোটে বিরত থাকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কথায়, কংগ্রেস এক ঢিলে দুই pakh শিকার করেছে।এক দিকে বামেদের সঙ্গেও বিরোধী মনোভাব বজায় রাখলো। এবং বুঝিয়ে দিলো ২৩- এর মহাযুদ্ধে বামেদের ছাড়ায় লড়াইয়ের ময়দানে নামতেও দ্বিধা বোধ করবে না কংগ্রেস শিবির।