ডেস্ক রিপোর্টার,৯জানুয়ারি।।
প্রতিদিন রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। করোনা প্রতিরোধে প্রশাসন বাধ্য হয়ে প্রাথমিক ভাবে “নাইট কার্ফু”র সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সোমবার থেকে লাগু হবে “নাইট কার্ফু”।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেখা গেছে প্রশাসন কার্ফু বা লোকডাউনের ঘোষণা দিতেই চাঙ্গা হয়ে যেত “ব্ল্যাক মার্কেট”।একাংশ ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা উপার্জনের লক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে দিতো।স্বাভাবিক ভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পকেট কাটতো অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই রকম বহু অভিযোগ রয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এরকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।এবার কঠোর হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। চেম্বার অফ ট্রেড বিজনেস,ত্রিপুরা হোলসেল গ্রাসরি মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, মহারাজগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় সমিতি,এই তিন ব্যবসায়ী সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবে না।বাজারে সমস্ত পণ্য সামগ্রীর মজুত চাহিদার তুলনায় বেশি রয়েছে।
ত্রিপুরা হোলসেল গ্রাসরি মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক রজত পাল জানিয়েছেন,” প্রত্যেক পণ্য সামগ্রীর মজুত রয়েছে রাজ্যে। সুতরাং কালো বাজারী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।” রজত পালের কথায়, মানুষের সুবিধার জন্য তারা “হেল্প লাইন” চালু করেছে। ক্রেতারা যেকোনো সমস্যা নিয়ে তাদের হেল্প লাইনে ফোন করতে পারবেন।এবং সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। ৯৪৩৬১২১০৪৫,৯৪৩৬১২১৩৭৩,৭০০৫৬০৪৫১৭-এই মোবাইল নম্বরগুলিতে ফোন করলেই ক্রেতাদের সমস্ত ধরণের সাহায্য করা হবে।
চেম্বার অফ ট্রেড বিজনেস,ত্রিপুরা হোলসেল গ্রাসরি মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, মহারাজগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় সমিতি,এই তিন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে আগেই তারা মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছিল।এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।তারা মানুষের পাশে থাকবে।এবং করবে ক্রেতাদের নানান সমস্যার নিরসন।