ডেস্ক রিপোর্টার,৮জুলাই।।
গোমতী জেলায় কার্যকারিনী বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রদেশ বিজেপি বাজিয়ে দিল ২৩-র ভোট যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ দামামা। দুইদিনব্যাপী কার্যকারিণী বৈঠকে গেরুয়া শিবির তৈরি করেছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের অনুপুঙ্খ রোড ম্যাপ। কার্যকারিনী বৈঠক সূত্রের খবর, এগিয়ে আসতে পারে বিধানসভা নির্বাচন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের দিনক্ষণ। এবং জানুয়ারির গোড়াতেই অনুষ্ঠিত হতে পারে ২৩-র মহারণ অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের একমাস আগেই অনুষ্ঠিত হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন। প্রসঙ্গত নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় হয়ে থাকে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের বক্তব্য অনুযায়ী, চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিজেদের শক্তি ফের ঝালিয়ে নেয় তারা উপভোগটে একটি আসন হাতছাড়া হলেও ভোটের শতাংশ হিসেবে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে বহুদূর ঠেলে দিয়েছে এবং উপভুটে আক্ষরিক অর্থে শক্তি বেড়েছে শাসক দল বিজেপির ভোটের পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে গেরুয়া শিবিরের থিম ট্যাঙ্ক তারা নিশ্চিত এগিয়ে আনলেও তাদের কোন সমস্যা হবে না বরং লাভবানই হবে।
বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, বিধানসভা ভোট যতটা আগে করা যায়,ততটাই দলের জন্য ভালো। পিছিয়ে গেলে সময় পাবে বিরোধীরা। তারাও গুছিয়ে মাঠে নামার সুযোগ পারে। এখন পর্যন্ত বিজেপির শক্তির ধারে কাছে নেই সিপিএম ও কংগ্রেস। তবে পাহাড়ে তিপ্রামাথা একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সিংহভাগ নেতৃত্ব মনে করছেন, ভোটের চূড়ান্ত মুহূর্তে প্রদ্যুতের মথা যোগ দেবে বিজেপির সঙ্গেই। কারণ, বিজেপি ব্যতীত তাদের কাছে বিকল্প কোন রাস্তা খোলা নেই। কেননা, দাবি আদায় করতে হলে তিপ্রামথাকে আলোচনায় বসতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই। সাধারণ নির্বাচনেও দেশের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই প্রদ্যুৎ কিশোরকে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে হলে বিজেপি ব্যতীত কোন বিকল্প ওয়ে নেই। প্রদেশ বিজেপির নেতৃত্বের কথায়, “যদি আমরা তর্কের খাতিরে ধরেই নেই প্রদ্যুৎ কিশোর বিজেপির সঙ্গে আসবেন না, তাতেও কোন সমস্যা হবে না। কারণ পাহাড় – সমতল সব জায়গাতেই মানুষ ভোট দেবে বিজেপিকে। তার প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত ভোটেই পাওয়া গিয়েছে।নির্বাচনে কংগ্রেস,সিপিএম বা তিপ্রামথা কিছু আসন হয়তো বা পাবে।কিন্তু বিজেপির জন্য ফ্যাক্টর হবে না। বিজেপি নিজস্ব গতিতেই ২৩- এ ফিরবে রাজ্যের মসনদে।
রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত দামামা বেজে উঠতে পারে। ইতিমধ্যে আরক্ষা প্রশাসনের কাছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে এই সংক্রান্ত প্রাথমিক বার্তা এসে পৌঁছেছে বলেও জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *