কৈলাসহর ডেস্ক।। ১৯ নভেম্বর।।
কৈলাসহর পাইতুর বাজারে দুই মহিলা সহ একটি স্করপিও থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশীষ লাল সিংহকে আটক করে মারধর করে স্থানীয় যুবকরা। ভয়ে দুই মহিলা পালিয়ে যায়।যদিও তাদেরকে পরে আটক করে পুলিশ।উত্তেজিত জনতার মারে আহত হন তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিংহ।বর্তমানে তিনি কৈলাসহর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কৈলাসহর থানার পুলিশ।
থানা পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এদিন সন্ধ্যায় পাইতুর বাজার এলাকায় সন্দেহ জনক ভাবে একটি স্করপিও আটক করে স্থানীয় যুবকরা। স্করপিও’র সামনের সিটটি খালি ছিলো।কিন্তু মাঝখানের সিটে দুই মহিলার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিংহ।স্থানীয় যুবকরা গাড়িটি আটক করতেই দুই মহিলা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন আশীষ লাল সিংহকে মারধর করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কৈলাসহর থানার পুলিশ।আহত আশীষ লাল সিংহকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে।পরবর্তী সময়ে পুলিশ আশীষ লাল সিংহের সঙ্গে থাকা দুই মহিলাকে আটক করে।তাদের একজনের নাম রাখি দেবনাথ(৫২),বাড়ি রানীরবাজা।অপর জন স্বর্ণ প্রভা চ্যাটার্জী(৩০)।বাড়ি কৈলাসহরের বিদ্যানগর এলাকায়। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন তারা সন্ধ্যায় পাইতুর বাজার এলাকায় এসেছিলো? তবে পুলিশ কারণ সম্পর্কে কিছু খোলসা করে নি।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, রাজনৈতিক কাজে আশীষ দলের দুই মহিলা কর্মীকে নিয়ে পাইতুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।তখন কিছু যুবক গাড়ি আটক করে আশীষ লাল সিংহকে মারধর করে। এর আগেও কৈলাসহরে আশীষ লাল সিংহের গাড়িতে আক্রমণ করেছিলো বিজেপি’র লোকজন।তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই আশীষ লাল সিংহের গাড়ি আটকানো হয়েছে।আশীষ লাল সিংহ ধলাই,উত্তর জেলা ও ঊনকোটি জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন।দলের কাজে যে কোনো জায়গাতে যেতে পারেন তিনি।সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী করছেন আশীষ।এই কারণেই তাঁর উপর বার বার হামলা করেছে বিজেপি দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
এই ইস্যুতে বিজেপি’র পাল্টা জবাব আশীষ লাল সিংহকে পাইতুর বাজারে স্থানীয় মানুষ আটক করেছে দুই মহিলা সহ।এই ক্ষেত্রে বিজেপি’র কোনো হাত নেই।ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *