ডেস্ক রিপোর্টার, ২১সেপ্টেম্বর।।
           প্রদ্যুৎ কিশোর থেকে অনিমেষ দেববর্মা। ইদানিং তিপ্রামথার শীর্ষ নেতৃত্ব বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মথার নেতৃত্বের ক্রমাগত জাতি বিদ্বেষী মন্তব্যে নড়েচড়ে বসেছে বাঙালি সমাজও। বাঙালিরা আসছে এক মঞ্চে। মঙ্গলবার তেলিয়ামুড়াতে বাঙালিরা একজোট হয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে স্থানীয় থানায়।তার আগে
  তেলিয়ামুড়াতে বিশাল মিছিল বের হয়। এবং এই মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। শেষে লোকজন জমায়েত করে। বাঙালি নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন।
   বক্তারা প্রত্যেকেই প্রদ্যুৎ কিশোরের করা নানান সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের সমালোচনা করেন।সম্প্রতি মথার শীর্ষ নেতা অনিমেষ দেববর্মা বলেছিলেন,”পাহাড়ী – বাঙালি ভাই ভাই, তারে দেখলে কাইট্যা লাইস”। অনিমেষ দেববর্মার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। একইভাবে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন এই রাজ্যের বাঙ্গালীদের “বিদেশী” বলে আখ্যা দেন। তাছাড়া আশির জুনের দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে বাঙালী বিদ্বেষী নানান বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প ছাড়ানোর চেষ্টা করছে বাঙালি সমাজ।
        বাঙালি সমাজের নেতৃত্বের বক্তব্য, তিপ্রামথার নেতাদের এই ধরনের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের মাধ্যমে বিগড়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। সাধারন সহজ সরল জনজাতিদের মধ্যে বপন হতে পারে বাঙালি বিদ্বেষ।এরফলে ভোটের মুখে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে। বাঙালিদের উপর কোনো আক্রমণ হলে তার দায় নিতে হবে প্রদ্যুৎ কিশোরকেই। তখন অবশ্যই চুপ করে থাকবে না বাঙালি সমাজ। গড়ে তুলবে পাল্টা প্রতিরোধ।
           বাঙালি সমাজের নেতৃত্বের কথায়, দিনের পর দিন মথার নেতারা অপমান করে চলছে বাঙালিদের।এই রাজ্যের বাঙালিদের  কখনো “বিদেশী”, আবার কখনো “অনুপ্রবেশকারী বলে অপমান করছে মথা নেতৃত্ব। তিপ্রামথার এধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাঙালি সমাজ। রাজনীতিকরা বলছেন, জল আরও বেশিদূর গড়ালে যে কোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। মূলত  প্রদ্যুৎ সহ বাদবাকি তিপ্রামথার নেতৃত্ব সরাসরি জাতি বিদ্বেষী কথা বলে ভোটের বাজার যে ধরতে চাইছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
           

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *