ডেস্ক রিপোর্টার,৭মে।।
নগর ও পুর ভোটের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলো প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুম’। প্রায় সাড়ে চারমাস রাজ্য রাজনীতির অঙ্গন থেকে অনেকটা দূরে ছিলো ঘাসফুল। তবে মাঝে মধ্যে সুবলের নেতৃত্বে দুয়েকটি মহামিছিলের( কাগজে লেখা) আয়োজন করেছিলো। ব্যাস,এটুকুই। তারপর সবই শেষ।
রাজনীতিকরা বলছেন, এই মুহূর্তে কগ্রেস এবং সিপিআইএমকে ঘরে বসিয়ে দিতেই সাড়ে চার মাস পর শক্তি বাড়ানোর প্রয়াস শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আক্ষরিক অর্থে তারা ভ্যাট দেবে শাসক দল বিজেপিকেই। তবে পুর ও নগর ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য জুড়ে যে সাড়া পেয়েছিলো এবার তার সিকি ভাগও পাবে না বিধানসভা নির্বাচনে। যদিও প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুর ভোটের শতাংশের হিসাবে নিজেদের বিরোধী হিসাবেই তুলে ধরেছেন।
পুর ও নগর ভোটের তিনমাস আগে এসে বঙ্গ নেতারা একটা ঝড় তুলার চেষ্টা করেছিল।মানুষ ফের বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো তৃণমূলকে। তৃণমূল কংগ্রেস তার ফায়দাও তুলে। এবং ২৩শতাংশ ভোট সংগ্রহ করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের এই ২৩ শতাংশ ভোট বামেদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।তৃণমূল ময়দানে না থাকলে মানুষ বামেদেরকেই ভোট দিতো। কারণ বিজেপি’র নানান কারণে ক্ষোভের বসতবর্তী হয়েই মানুষ টিএমসিকে ভোট দিয়েছে। এই ২৩ শতাংশ ভোট বামেদের দখলে আসলে তারা বেশ কয়েকটি আসনও পেতে পারতো। মূলত মাঝখান দিয়ে তৃণমূল প্রবেশ করেই বামেরা আশায় গুড় ঢেলে দিয়েছিলো।
২০২৩-র বিধানসভা ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। এই ভোটকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা ৬০টি কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা দেবে। ইতিমধ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে।রাজনীতিকরা বলছেন, তৃণমূলের শক্তি কোথায়? বিধানসভার কোনো আসনেই তাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। কোনো দলের সঙ্গে জোট করলে যদি কিছু হয়।কিন্তু কার সঙ্গে জোট হবে। কংগ্রেস বারবার বলছে, তৃণমূল বিজেপি’র “বি” টিম। আপাত দৃষ্টিতে ত্রিপুরাতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা নেই। বামেদের সঙ্গে কোনো প্রশ্নই পড়ে না। আর রইলো পাহাড়ের তিপ্রামথা। কিন্তু প্রদ্যুত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে এসে কি পাবে? তা অবশ্যই ভাববেন তিনি? তৃণমূল প্রদ্যুতকে সমতল থেকে আসন এনে দিতে পারবে না। তাছাড়া প্রদ্যুত কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’র দাবিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূরণ করতে পারবেন না।স্বাভাবিক ভাবেই প্রদ্যুতের সঙ্গে টিএমসির জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে রাজনীতিকরা। তাছাড়া বৃহস্পতিবারেও প্রদ্যুত স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে মথা একই লড়াই করবে। তাহলেই একই লড়বে তৃণমূল। এক্ষেত্রে “কংগ্রেসে”র ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল। কারণ বিজেপি’র বিক্ষুব্ধ ভোট পড়বে কংগ্রেস-তৃণমূলে। ঘাসফুল ময়দানে না থাকলে বিক্ষুব্ধ বিজেপি ভোট কংগ্রেসের পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা ভাগাভাগি হয়ে যাবে। বাম মানসিকতার ক্ষুদ্র অংশের ভোটও কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকার প্রবণতা আছে।কিন্তু তাতেই থাবা বসাতে পারে তৃণমূল। হয়তোবা সংখ্যায় খুব কম। “রাজনীতির এই সমীকরণ বিশ্লেষণ করলেই স্পস্ট হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্য।” বলছেন,রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *