বক্সনগর প্রতিনিধি,২৩ এপ্রিল।।
সীমান্তে পাচার কালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় এক বাংলাদেশী পাচারকারী। তার নাম মোহাম্মদ হাসান(৩৫)। পিতা জড়ো মিয়া। বাড়ি বাংলাদেশের শশীদল থানার কসবা এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সাত সকালে কলমচৌড়া থানাধীন পুটিয়া বিওপির অন্তর্গত ভারত- বাংলা সীমান্তের ১৪৪ নং গেইট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ জন যুবক দল তাদের পাচার বানিজ্য চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। উভয় দেশের অর্থাৎ ভারত এবং বাংলাদেশ এই দুই দিক থেকেই পাচারকারীরা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে তাদের পাচার কার্যের জন্য এগোতে থাকে।
কিন্তু ডিউটিরত দুজন বিএসএফ জওয়ান তাদেরকে বাধা প্রদান করে। তবে পাচারকারীরা সংখ্যায় বেশী থাকায় তারা বিএসএফ জওয়ানদের বাধাকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই সংঘবদ্ধ ভাবে পাল্টা ধাওয়া করার চেষ্টা করে। জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এই অবস্থায় জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে কিছুটা পিছু হটে এবং শূন্যে গুলি ছুঁড়ে বলে খবর। পাশাপাশি পাচারকারী দলটিকে বার বার সীমান্ত এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পাচারকারীরা পাল্টা ধেয়ে আসে জওয়ানদের দিকে। তখন জওয়ানরা বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায়।
তখনই কাঁটাতারের বেড়ার অপর প্রান্তে থাকা বাংলাদেশী যুবক মোহাম্মদ হাসান গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে যুবক এবং তার মৃত্যু হয় ।এদিকে সীমান্তের পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত নতুন কিছু নয়।সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে পাচারকারীরা দৈনিক কুইন্টাল কুইন্টাল চিনি বাংলাদেশে পাচার করে চলছে।
সেক্ষেত্রে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া গুলো কেটে জর্জরিত করে ফেলছে পাচার চক্রের চাঁইরা। কিন্তু সীমান্তে জওয়ানদের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পাচার বানিজ্য চালিয়ে যেতে অসুবিধা হয় না চক্রের চাঁইদের।তাতে প্রশ্ন উঠছে দেশ ও রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।