ডেস্ক রিপোর্টার,২৯জুলাই:
‘আই-পেকে’র টিম সদস্যদের আটক করার ঘটনা কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে এসেছেন পশ্চিম বাংলার দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক।সঙ্গে তৃণমূল নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জী। বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসার কথা ডেরেক ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
বাংলা থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতৃত্ব যখন রাজ্যে আসছে বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে,ঠিক তখনই ব্রাত্য বসু ও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলো তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় পঞ্চাশ জন নেতা একত্রিত হয়ে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভেন্যু ঠিক হয় রাজধানীর একটি হোটেলে।
তৃণমূল কর্মীদের কথায়, বুধবার রাতে বৈঠকের ভেন্যু পাল্টে যায়।হোটেলের পরিবর্তে বৈঠকের ভেন্যু চূড়ান্ত হয় শহরের রাজধানীর কৃষ্ণনগরস্থিত সৎসঙ্গ আশ্রম লাগোয়া অজয় পালের বাড়িতে।এই নির্দেশ দেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর তাতেই ক্ষেপে উঠে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।তাদের অভিযোগ, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অজয় পাল বিজেপি’র লোক। এখনো তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে বিজেপির বুদবুদ গন্ধ। ব্রাত্য বসু কিভাবে অজয় পালের বাড়িতে বৈঠকের কথা বললেন?
অনুসন্ধানে নামে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতা। তারা জানতে পারেন অজয় পালের বাড়িতে বৈঠক করার কথা ব্রাত্য বসুকে বলেছেন মুকুল রায়। মুকুলের সঙ্গে অজয় পালের পুরানো পরিচয়। এই জন্যই মুকুল রায় দিল্লিতে বসে অজয় পালের বাড়িতে ব্রাত্যের বৈঠকের জায়গা নির্ধারণ করেন।বঙ্গ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় নেতৃত্ব।
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানান, বঙ্গ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত মেনে যাবে না।তারা বৈঠক করবে না অজয় পালের বাড়িতে।ব্রাত্য বসু,মুকুল রায়রা যা বলে দেবেন তা মানা যাবে না।কারণ তারা অজয় পাল সম্পর্কে কিছুই জানেন না।অজয় পালের বাড়িতে বৈঠক করলে বিজেপির কাছে পৌঁছে যাবে বহু তথ্য।
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি,অজয় পাল ত্রিপুরা পর্যটন নিগমের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য বহু দৌড় ঝাঁপ করেছেন এক সময়।কিন্তু তিনি পদ না পাওয়াতে তৃণমূলের দিকে গা ঘেঁষতে চাইছেন।তবে তিনি এখনো বিজেপি’র লোকজন।স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি,অজয় পালকে কোনো ভাবেই বিশ্বাস করা যায়না।সে বিজেপি’র দূত হিসাবে কাজ করার জন্যই তৃণমূল শিবিরে আসার চেষ্টা করছেন অজয়।মুর্দা কথা, ত্রিপুরাতে তৃণমূলের বীজ বপনের আগেই তৃণমূল স্তরের নেতৃত্ব প্রচন্ড খেদ প্রকাশ করছেন ব্রাত্য বসু ও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে।