ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭মার্চ।।
২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষের আর্থিক বাজেট পেশ করলো রাজ্য সরকার।বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে বাজেট পেশ করা হয়।চলতি বাজেটকে “আত্মনির্ভর ত্রিপুরা বাজেট” বলে আখ্যায়িত করেছে রাজ্য সরকার। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে এটাই শেষ বিধানসভা অধিবেশন।স্বাভাবিক ভাবে আত্ম নির্ভর ত্রিপুরা বাজেটে কল্পতরু হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার।

** জেন্ডার বাজেট: পুরুষদের অনুপাতে মহিলাদের ওপর বাজেটে কত খরচ হচ্ছে, তা সকলকে জানাতে, এবছর সরকার জেন্ডার বাজেট প্রকাশ করবে।

** কিষান সন্মান নিধি: এই অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে রাজ্যের ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫২২ জন কৃষকের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ৪০৬.৮১ কোটি টাকা পৌঁছে গেছে।

** “মহিলা সশক্তিকরণ অভিযান”: এই প্রকল্পকে সার্থক করে তুলতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** বর্গাচাষী: “ত্রিপুরা এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড লিজিং অ্যাক্ট ২০২১”-র আওতায় এক লক্ষ বর্গাদার কৃষককে নিয়ে এসে, সকল প্রকার সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব।

** প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রম:”প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রম” এর জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।

** পাহাড়ের স্বাস্থ্য: খেরেংবাড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিকল্পে রাজ্য সরকার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

** চা শ্রমিকের স্বার্থে: “মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প” এর জন্য ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে । এতে ৭২৩০ জন শ্রমিক উপকৃত হবেন।

** নেশা মুক্ত ত্রিপুরা: ‘নেশা মুক্ত ত্রিপুরা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে খুমুলুঙে ১ কোটি টাকা খরচ করে নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

** স্ব-সহায়ক দল: ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে স্ব-সহায়ক দলের সংখ্যা ছিল ৪,৪১০ টি। কিন্তু বর্তমান সরকার রাজ্যের ৩ লক্ষ গরিব মহিলাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩২,৮২০ টি স্ব-সহায়ক দল গড়তে সক্ষম হয়েছে।

** মাছচাষ ও পশুপালন: মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮,০০০ তপশিলি জাতিভুক্ত সুবিধাভোগীকে মাছচাষ ও পশুপালনের জন্য আর্থিক সাহায্য করা হবে।

** ছাত্রাবাস: চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের ৭ টি জনজাতি বোর্ডিং হাউজের উন্নতিকল্পে ৩০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এছাড়া রাজ্যের এস.সি, এস.টি হোস্টেলগুলিতে আই.টি. পরিকাঠামো বাড়াতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** একলব্য মডেল স্কুল:২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে মাত্র ৪ টি একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুল ছিল রাজ্যে। বর্তমানে রাজ্যের জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান করতে ১৬টি একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল ও ১টি একলব্য মডেল ডে বোর্ডিং স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে।

** আবাস যোজনা: এখন পর্যন্ত PMAY (গ্রামীণ) প্রকল্পে ১.৬৯ লক্ষ ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং PMAY (আরবান) প্রকল্পে ৮৫,৩৮৬ ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

** প্যাকেট আটা: রাজ্যের রেশনগুলিতে প্যাকেজড আটা বিতরনের প্রস্তাব গ্রহন করা হয়েছে।

** কোভিড পরিষেবা: গরিব মানুষের খাদ্য সুরক্ষা প্রদানে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ বিতরণে সর্বমোট ৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

** স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধি: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে প্রাথমিকতা দিয়ে গত বছরের তুলনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বাজেটে ২৩% বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবছর স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য ১,৭৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** স্কলারশিপ: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের ২২,০০০ তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হবে। তাছাড়া ২৭০ জন তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে পেশাগত শিক্ষার জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

** সুবর্ণজয়ন্তী ত্রিপুরা: রাজ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জন্য, “সুবর্ণজয়ন্তী ত্রিপুরা নির্মাণ যোজনা” হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা।

** ওবিসি ছাত্রাবাস: ১৫০ আসন বিশিষ্ট একটি বয়েজ হোস্টেল এবং একটি গার্লস হোস্টেল নির্মাণ করা হবে ধর্মনগরে । ওবিসি ছাত্রীদের জন্য ২০০ আসন বিশিষ্ট একটি হোস্টেল নির্মিত হবে হাঁপানীয়ায়।

** এন এ এ সি-র স্বীকৃতি: ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যের আরও চারটি ডিগ্রী কলেজ এন এ এ সি-এর স্বীকৃতি পেয়েছে যার ফলে এখন রাজ্যের ২২টির মধ্যে ২১টি সাধারন ডিগ্রী কলেজই এন এ এ সি-র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়ে গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি অটোমেশন বিভাগে পোস্ট গ্রেজুয়েট কোর্স চালু করা হয়েছে।

** ড্রোন ক্লাব: ড্রোন প্রযুক্তি সম্পর্কে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতে ও গবেষনা করার লক্ষ্যে টি আই টি-তে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রোন ক্লাব/সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

** সৈনিক স্কুল:২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টাকা খরচ করে একটি সৈনিক স্কুল নির্মাণ করা হবে এবং এমবিবি কলেজের সাইন্স বিল্ডিং-এর উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** ‘খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা’: সুস্থ জীবনযাপন ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা’ নামক নতুন প্রকল্পের সূচনা করা হবে। এর জন্য বরাদ্দ থাকবে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

** স্পোকেন ইংলিশ প্রশিক্ষণ:কৈলাশহর ডিস্ট্রিক্ট এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে একটি নতুন মডেল কেরিয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে যাতে করে যুবারা সফ্ট স্কীল ও স্পোকেন ইংলিশের প্রশিক্ষণ পেতে পারে।

** জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়:রাজ্যে ৫০ কোটি টাকা খরচে ‘জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন করা হবে। এই লক্ষ্যে বিধানসভা অধিবেশনে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশ করা হবে।

** সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ: রাজ্যের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে একটি সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মাণ করা হবে। পরবর্তিতে, খুমুলুঙ, পদ্মবিল এবং কিল্লাতে আরও ৩ টি সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মাণ করা হবে।

** শিক্ষায় লক্ষী:গত অর্থবছরের তুলনায় ২০.৬৬% টাকা বৃদ্ধি করে শিক্ষা দপ্তরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে, এই অর্থবছরে ৫০১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** মেডিক্যাল আসন সংখ্যা বৃদ্ধি: রাজ্য সরকার আগরতলা মেডিকেল কলেজের স্নাতকোত্তর ডিগ্রী আসনের সংখ্যা ২৫ থেকে বৃদ্ধি করে ৭৯ করেছে যাতে করে রাজ্যে আরও বেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া যেতে পারে।

** মহকুমা হাসপাতাল: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে গন্ডাতুইসায় একটি মহকুমা হাসপাতাল নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপ্তাখালি, কমলনগর, তুলামুড়া, আঠারোভুলা, জগবন্ধুপাড়া, খয়েরপুর, রানীরবাজার, কাঠালিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে।

** মানসিক হাসপাতাল নির্মাণ:উত্তর ত্রিপুরা জেলায় একটি মানসিক হাসপাতাল নির্মাণ করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে এবং আগরতলায় একটি মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

**ইংরেজি মাধ্যম কলেজ: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে একটি ইংরেজি মাধ্যম কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা খরচ করে নরসিংগড় টি আই টি কলেজের নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে ও ১০ কোটি টাকা খরচ করে এনসিসির গ্রুপ হেডকোয়ার্টার বানানো হবে।

** বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে: “ত্রিপুরা পাওয়ার জেনারেশন আপগ্রেডেশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন রিলাইবিলিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট” এর মাধ্যমে RDSS এবং ADB এর সহায়তায় ২ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা খরচা করে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতি সাধন করা হবে।

**নাগেরজলা বাস টার্মিনাল:আগরতলার নাগেরজলা বাস টার্মিনাল এবং উদয়পুরের রাজারবাগ স্ট্যান্ডকে আধুনিক মোটর স্ট্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে প্রত্যেকটিতে ১০কোটি টাকা করে বরাদ্দ। ৫ কোটি টাকা করে খরচা করা হবে তেলিয়ামুড়া, গন্ডাছড়া এবং জিরানিয়ায় মোটর স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে।

** ইকো ট্যুরিজম: ইকো ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করতে, “ত্রিপুরা ইকোট্যুরিজম
কর্পোরেশন” (TETCO) গঠন করার সিদ্ধান্ত।এর জন্য বাজেটে ১০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭মার্চ।।
২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষের আর্থিক বাজেট পেশ করলো রাজ্য সরকার।বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে বাজেট পেশ করা হয়।চলতি বাজেটকে “আত্মনির্ভর ত্রিপুরা বাজেট” বলে আখ্যায়িত করেছে রাজ্য সরকার। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে এটাই শেষ বিধানসভা অধিবেশন।স্বাভাবিক ভাবে আত্ম নির্ভর ত্রিপুরা বাজেটে কল্পতরু হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার।

** জেন্ডার বাজেট: পুরুষদের অনুপাতে মহিলাদের ওপর বাজেটে কত খরচ হচ্ছে, তা সকলকে জানাতে, এবছর সরকার জেন্ডার বাজেট প্রকাশ করবে।

** কিষান সন্মান নিধি: এই অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে রাজ্যের ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫২২ জন কৃষকের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ৪০৬.৮১ কোটি টাকা পৌঁছে গেছে।

** “মহিলা সশক্তিকরণ অভিযান”: এই প্রকল্পকে সার্থক করে তুলতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** বর্গাচাষী: “ত্রিপুরা এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড লিজিং অ্যাক্ট ২০২১”-র আওতায় এক লক্ষ বর্গাদার কৃষককে নিয়ে এসে, সকল প্রকার সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব।

** প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রম:”প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রম” এর জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।

** পাহাড়ের স্বাস্থ্য: খেরেংবাড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিকল্পে রাজ্য সরকার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

** চা শ্রমিকের স্বার্থে: “মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প” এর জন্য ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে । এতে ৭২৩০ জন শ্রমিক উপকৃত হবেন।

** নেশা মুক্ত ত্রিপুরা: ‘নেশা মুক্ত ত্রিপুরা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে খুমুলুঙে ১ কোটি টাকা খরচ করে নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

** স্ব-সহায়ক দল: ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে স্ব-সহায়ক দলের সংখ্যা ছিল ৪,৪১০ টি। কিন্তু বর্তমান সরকার রাজ্যের ৩ লক্ষ গরিব মহিলাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩২,৮২০ টি স্ব-সহায়ক দল গড়তে সক্ষম হয়েছে।

** মাছচাষ ও পশুপালন: মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮,০০০ তপশিলি জাতিভুক্ত সুবিধাভোগীকে মাছচাষ ও পশুপালনের জন্য আর্থিক সাহায্য করা হবে।

** ছাত্রাবাস: চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের ৭ টি জনজাতি বোর্ডিং হাউজের উন্নতিকল্পে ৩০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এছাড়া রাজ্যের এস.সি, এস.টি হোস্টেলগুলিতে আই.টি. পরিকাঠামো বাড়াতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** একলব্য মডেল স্কুল:২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে মাত্র ৪ টি একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুল ছিল রাজ্যে। বর্তমানে রাজ্যের জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান করতে ১৬টি একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল ও ১টি একলব্য মডেল ডে বোর্ডিং স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে।

** আবাস যোজনা: এখন পর্যন্ত PMAY (গ্রামীণ) প্রকল্পে ১.৬৯ লক্ষ ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং PMAY (আরবান) প্রকল্পে ৮৫,৩৮৬ ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

** প্যাকেট আটা: রাজ্যের রেশনগুলিতে প্যাকেজড আটা বিতরনের প্রস্তাব গ্রহন করা হয়েছে।

** কোভিড পরিষেবা: গরিব মানুষের খাদ্য সুরক্ষা প্রদানে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ বিতরণে সর্বমোট ৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

** স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধি: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে প্রাথমিকতা দিয়ে গত বছরের তুলনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বাজেটে ২৩% বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবছর স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য ১,৭৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** স্কলারশিপ: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের ২২,০০০ তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হবে। তাছাড়া ২৭০ জন তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে পেশাগত শিক্ষার জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

** সুবর্ণজয়ন্তী ত্রিপুরা: রাজ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জন্য, “সুবর্ণজয়ন্তী ত্রিপুরা নির্মাণ যোজনা” হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা।

** ওবিসি ছাত্রাবাস: ১৫০ আসন বিশিষ্ট একটি বয়েজ হোস্টেল এবং একটি গার্লস হোস্টেল নির্মাণ করা হবে ধর্মনগরে । ওবিসি ছাত্রীদের জন্য ২০০ আসন বিশিষ্ট একটি হোস্টেল নির্মিত হবে হাঁপানীয়ায়।

** এন এ এ সি-র স্বীকৃতি: ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যের আরও চারটি ডিগ্রী কলেজ এন এ এ সি-এর স্বীকৃতি পেয়েছে যার ফলে এখন রাজ্যের ২২টির মধ্যে ২১টি সাধারন ডিগ্রী কলেজই এন এ এ সি-র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়ে গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি অটোমেশন বিভাগে পোস্ট গ্রেজুয়েট কোর্স চালু করা হয়েছে।

** ড্রোন ক্লাব: ড্রোন প্রযুক্তি সম্পর্কে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতে ও গবেষনা করার লক্ষ্যে টি আই টি-তে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রোন ক্লাব/সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

** সৈনিক স্কুল:২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টাকা খরচ করে একটি সৈনিক স্কুল নির্মাণ করা হবে এবং এমবিবি কলেজের সাইন্স বিল্ডিং-এর উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** ‘খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা’: সুস্থ জীবনযাপন ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা’ নামক নতুন প্রকল্পের সূচনা করা হবে। এর জন্য বরাদ্দ থাকবে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

** স্পোকেন ইংলিশ প্রশিক্ষণ:কৈলাশহর ডিস্ট্রিক্ট এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে একটি নতুন মডেল কেরিয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে যাতে করে যুবারা সফ্ট স্কীল ও স্পোকেন ইংলিশের প্রশিক্ষণ পেতে পারে।

** জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়:রাজ্যে ৫০ কোটি টাকা খরচে ‘জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন করা হবে। এই লক্ষ্যে বিধানসভা অধিবেশনে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশ করা হবে।

** সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ: রাজ্যের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে একটি সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মাণ করা হবে। পরবর্তিতে, খুমুলুঙ, পদ্মবিল এবং কিল্লাতে আরও ৩ টি সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মাণ করা হবে।

** শিক্ষায় লক্ষী:গত অর্থবছরের তুলনায় ২০.৬৬% টাকা বৃদ্ধি করে শিক্ষা দপ্তরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে, এই অর্থবছরে ৫০১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

** মেডিক্যাল আসন সংখ্যা বৃদ্ধি: রাজ্য সরকার আগরতলা মেডিকেল কলেজের স্নাতকোত্তর ডিগ্রী আসনের সংখ্যা ২৫ থেকে বৃদ্ধি করে ৭৯ করেছে যাতে করে রাজ্যে আরও বেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া যেতে পারে।

** মহকুমা হাসপাতাল: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে গন্ডাতুইসায় একটি মহকুমা হাসপাতাল নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপ্তাখালি, কমলনগর, তুলামুড়া, আঠারোভুলা, জগবন্ধুপাড়া, খয়েরপুর, রানীরবাজার, কাঠালিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে।

** মানসিক হাসপাতাল নির্মাণ:উত্তর ত্রিপুরা জেলায় একটি মানসিক হাসপাতাল নির্মাণ করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে এবং আগরতলায় একটি মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

**ইংরেজি মাধ্যম কলেজ: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে একটি ইংরেজি মাধ্যম কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা খরচ করে নরসিংগড় টি আই টি কলেজের নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে ও ১০ কোটি টাকা খরচ করে এনসিসির গ্রুপ হেডকোয়ার্টার বানানো হবে।

** বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে: “ত্রিপুরা পাওয়ার জেনারেশন আপগ্রেডেশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন রিলাইবিলিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট” এর মাধ্যমে RDSS এবং ADB এর সহায়তায় ২ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা খরচা করে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতি সাধন করা হবে।

**নাগেরজলা বাস টার্মিনাল:আগরতলার নাগেরজলা বাস টার্মিনাল এবং উদয়পুরের রাজারবাগ স্ট্যান্ডকে আধুনিক মোটর স্ট্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে প্রত্যেকটিতে ১০কোটি টাকা করে বরাদ্দ। ৫ কোটি টাকা করে খরচা করা হবে তেলিয়ামুড়া, গন্ডাছড়া এবং জিরানিয়ায় মোটর স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে।

** ইকো ট্যুরিজম: ইকো ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করতে, “ত্রিপুরা ইকোট্যুরিজম
কর্পোরেশন” (TETCO) গঠন করার সিদ্ধান্ত।এর জন্য বাজেটে ১০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *