ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ এপ্রিল।।
               অবশেষে ফের সত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো “জনতার মশাল”। গত ৩১মার্চ জনতার মশাল ওয়েব পোর্টালে  প্রকাশিত হয়েছিল ভোটের মুখে পাচার বাণিজ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে “এম্বুলেন্স” । প্রকাশিত খবরের সত্যতা বেরিয়ে আসে গত ১০ এপ্রিল।
           এদিন কুমারঘাট থানার সিদং ছড়া থেকে পুলিশ একটি এম্বুলেন্স আটক করেছিলো।তল্লাসির সময়ে এম্বুলেন্স থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিলো গাঁজা। উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ ছিল ২৭২ কেজি।পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো টিটন মিয়া ও মামুন মিয়া নামে দুই কারবারীকে।তাদের বাড়ি সোনামুড়া মহকুমাতে। ধৃত দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছিলো, ভোটের মুখে পুলিশের সন্দেহ এড়ানোর জন্যই এম্বুলেন্স ব্যবহার করেছিলো। এর আগেও এম্বুলেন্স – এ করেই তারা গাঁজার চালান পাচার করে ছিলো বহিঃ রাজ্যে।


ধৃত দুই যুবকের স্বীকরোক্তি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের সিংহ ভাগ পাচারকারী এম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। এই কাজে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার এম্বুলেন্স মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ মারুতি ওমিনি গাড়ি ক্রয় করে,এটাকে এম্বুলেন্স বানিয়ে তা দিয়ে পাচার করছে গাঁজা। কখনো কখনো তারা এম্বুলেন্সের মধ্যে নকল রোগী সাজিয়ে রেখে উইসেল বাজিয়ে পুলিশের নাকা পয়েন্ট অতিক্রম করে। এতে ধরার কোনো সম্ভবনাই থাকে না।


গ্রেফতার হওয়া কারবারীরা তদন্তকারী পুলিশকে জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুধু সিপাহীজলা জেলাতে প্রায় ৫০- র অধিক নতুন এম্বুলেন্স রাস্তায় নেমেছে। প্রতিটি এম্বুলেন্স ভূঁইফোড় সামাজিক সংস্থার নামে। এই এম্বুলেন্সগুলি দিয়েই জেলার কারবারীরা তাদের পাচার বানিজ্য সেরে নিচ্ছে মসৃণ ভাবেই। এখন পর্যন্ত গাঁজা পাচারের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে মাত্র দুইটি এম্বুলেন্স। বাদবাকী এম্বুলেন্সগুলি নিয়মিত চক্কর কাটছে। পুলিশ তাদের টিকিট নাগাল পাচ্ছে না।


কুমারঘাট থানার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুই কারবারী , ৩৭ জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম উগলে দিয়েছে।যারা এই মুহূর্তে এম্বুলেন্সে ব্যবহার করে নেশা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কুমারঘাট থানার পুলিশ এই সমস্ত তথ্য তুলে দিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের নারকোটিক্স বিভাগকে। এখন নারকোটিক্স বিভাগ গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এবং তালিকা ভূক্ত নেশা কারবারীদের এম্বুলেন্সের উপর রাখছে তীক্ষ্ণ নজর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *