ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ফেব্রুয়ারি।।
“বাঁকা পথে মানুষের প্রাপ্য হরণ করে রোজগার পিপাসু রাজনৈতিক স্বার্থানেশিদের প্রশ্রয় নয় l সংগঠন পরিচালনা ও জন সংযোগ স্থাপনে সমবাদ, স্বভাব, সদাচার আবশ্যক ।” –বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শুক্রবার গোমতী জেলার কার্যকারিনী বৈঠকে একথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দলের নেতা-কর্মীকে স্পস্ট ভাবে বার্তা দিয়েছেন।
যারা মানুষকে ঠকিয়ে রোজগারের ধান্দায় রাজনীতি করছে তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন,দল এগুলি প্রশ্রয় দেবে না। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে জনসংযোগ স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন পূর্বতন শাসকের বশ্যতা স্বীকার ও কোনো ধরণের লাভজনক সুযোগ গ্রহনে বিরত থাকার পরেই দীর্ঘ প্রতিক্ষিত পরিবর্তনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে ।তার আগে ব্যক্তি স্বার্থে পর্দার আড়ালে বিলীন হয়েছে পরিবর্তনকামী মানুষের প্রত্যাশা ।ঘুরিয়ে বললে মুখ্যমন্ত্রী ফের আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
“এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থেকে, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণ ও জমে থাকা জড়তা বা মলিনতা নিষ্কাসনে নিয়মিত পর্যালোচনা প্রয়োজন ।”—-একথা যোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে।
সহণশীলতা, ধৈর্য্য ও একাগ্রতা দ্বারা সততা পথে চালিত বিনয়ীভাবাপন্ন হয়ে জন আস্থা অর্জনই অন্যতম পথ বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরোক্ষ ভাবে তাঁর বক্তব্যে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বলেন, ” রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংঙ্কটাপন্নরা জন শূন্যতা থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে উদগ্রীব l রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা, কংগ্রেস এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সঙ্কটে ভোগছে।তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত এদিনের কার্যকারিনী বৈঠকে গোমতী জেলার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করা উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি করবুকের বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরাকে।বুর্বমোহনের অনুপস্থিতি নতুন ভাবে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিলো, বুর্বমোহন ত্রিপুরা ছিলেন বিজেপি’র সংস্কারপন্থী বিধায়কদের দলে। সম্প্রতি তিনি বৈঠক করেছিলেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে। রাজ্য রাজনীতির আকাশ-বাতাসে শুনা যায়, বুর্বমোহন ত্রিপুরা আগামী কয়েকমাসের মধ্যে সুদীপের পথ অনুসরণ করে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস শিবিরে। তবে এদিন গোমতী জেলার কার্যকারিনী বৈঠকে বুর্বমোহন উপস্থিত না থেকে রাজনীতির গুঞ্জনে বকলমে সিলমোহর দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশারদরা।