ডেস্ক রিপোর্টার,১৯এপ্রিল।।

” আমার দুটো শ্রান্ত আঁখি

তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে,

মুহূর্তেই স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠি ;

আমি ঘুমুতে পারি না।

মানুষ তো আমি !”

কে বলবে এই কথা মিথ্যে ? —— কবির এই অন্তরস্থলের কথার সঙ্গে যেন অনেকটা মিল পাওয়া গেলো রাজ্যের এক রাজনীতিকের কার্যকলাপের সঙ্গে।

তাই তিনিও সাবলীল ভাবে বলতে পেরেছেন, “আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিন্তু পাশাপাশি মানবিক ভাবাবেগ সম্পন্ন এক সাধারণ নাগরিকও।” সত্যিই তো, রাজনীতিকরাও মানুষ।মানুষকে নিয়েই তাদের কর্মকান্ড।কিন্তু আজকাল কতজন রাজনীতিকের কাছে মানুষ পায় যোগ্য সন্মান?

এই কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই পাওয়া যাবে খোয়াইয়ের ধলাবিল গ্রাম পরিদর্শন করলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নির্দেশনায় তাঁর সুযোগ্য সতীর্থ অমিত রক্ষিত অন্ধ জনের দেহে (চোখে) আলো দিতে পারেননি ঠিকেই, কিন্তু মনে আলো ফুটিয়ে দিয়েছেন।

খোয়াইয়ের ধলাবিল অঞ্চলের বাসিন্দা পশ্চিমা সম্প্রদায়ের মহিলা সারথী গৌর। তিনি জন্মান্ধ।ভাগ্যের পরিহাস তাঁর তিন সন্তানও অন্ধ। এক সময় সারথী গৌরের ভাগ্য আকাশে নেমে আসে বিধাতার করুন নিষ্ঠুরতা। বিধাতা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাঁর একমাত্র ভরসারস্থল স্বামীকেও। ঈশ্বরের রুদ্ররোষ থমকে যায় সারথী গৌরের সোনার সংসারের আলোও।
স্বামীর মৃত্যুতে পর ভিটে-মাটিহীন জন্মান্ধ সারথী গৌর তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে অকুল পাথারে পড়ে যান। তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে আকাশ। পরিবারটির নেই রেশন কার্ডও। কোথায় থাকবেন?কোথায় যাবেন? কি খাবেন? এই সমস্ত প্রশ্ন যেন সারথী গৌর ও তাঁর সন্তানদের জীবনে হয়ে উঠে নির্থক।
জন্মান্ধ সারথী গৌরের পরিবারের এই দুরবস্থার কথা শুনে ছুটে গিয়েছিলেন প্রদেশ বিজেপি’র সহসভাপতি তথা খোয়াই জেলার প্রভারী অমিত রক্ষিত। অসহায় মহিলা সারথী গৌরের অসহায় পরিবারকে দেখে রাজনীতিক অমিত রক্ষিতও ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন।

সারথী গৌরের পরিবারের অসহায়ত্বের কথা পৌঁছে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কর্ণকুহরে। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের দরাজ হাত পৌঁছে যায় অসহায় সারথী গৌরের সংসারে। মুখ্যমন্ত্রীর দূত হিসাবে গোটা বিষয়টি তদারকি করে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা সারথীর ঘরে পৌঁছে দিয়ে সংসারে আলো ফুটিয়েছেন অমিত রক্ষিত।
সহায় সম্বলহীন পরিবারকে সরকারি ভাবে জমি প্রদান, তারপর সেই জমিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর প্রদান,শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ বিজলি বাতির ব্যবস্থা করে দেন রাজ্য বিজেপি’র সহসভাপতি অমিত রক্ষিত। শুধু কি তাই। দুই বেলা দুমুঠো অন্ন’রও সংস্থান করে দিয়েছেন খোয়াই জেলার বিজেপি’র প্রভারী। সারথী গৌরের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে পাইয়ে দিয়েছেন রেশন কার্ডও।

রবিবার সারথী গৌরকে তাঁর স্বপ্নের নীড়ের চাবি আনুষ্ঠানিক ভাবে হাতে তুলে দিয়েছেন অমিত রক্ষিত। এরপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে লিখেন,”
“আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিন্তু পাশাপাশি মানবিক ভাবাবেগ সম্পন্ন এক সাধারণ নাগরিকও।” এবং রাজনীতিতে আসার উদ্দেশ্যটাও তিনি অনুভব করতে পেরেছেন এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।

“…এই ভাঙে, এই গড়ে,
  এই উঠে, এই পড়ে
কেহ নাহি চেয়ে দেখে কার কোথা বাজিছে বেদনা।” —–রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ বিজেপি’র সহ-সভাপতি অমিত রক্ষিতের এই মানবিক মূল্যবোধের পর অবশ্যই বলতে হয়, “কার কোথায় বেদনা হচ্ছে তা দেখার লোকও অবশ্যই আছে রাজ্যে।

          

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *