ডেস্ক রিপোর্টার,৮সেপ্টেম্বর।।
শুরু রাজ্যের পুরানো রাজধানী থেকে।আর শেষ বর্তমান রাজধানীতে।মাঝখানে স্পর্শ করলো বিশালগড়কে। অর্থাৎ উদয়পুর থেকে উৎপত্তি হওয়া রাজনৈতিক হিংসা শেষ হলো আগরতলায়।
বুধবার দুপুরে সিপিআইএম-বিজেপি’র সংঘর্ষ কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিলো উদয়পুর। সরোবর নগরীর হিংসার আঁচড় লাগে বিশালগড়ে।এখানে বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকরা অফিসটিলা সিপিআইএম অফিস আক্রমণ করে।ব্যাপক ভাঙচুরের পর ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।অভিযোগ সিপিআইএম’র।
উদয়পুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকালে প্রদেশ বিজেপি’র পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল হয় রাজধানীতে।মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে প্যারাডাইস চৌমুহনী থেকে মেলারমাঠ যায়। সিপিআইএম’র অভিযোগ, বিজেপি’র মিছিলে থাকা উগ্র কর্মী-সমর্থকরা “দেশের কথা” অফিসে প্রবেশ করে।সঙ্গে কিছু ভাঙচুর করে। সিপিআইএম সদরের সামনে থাকা গাড়ি গুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দাও দাও করে জ্বলে উঠে আগুন।ভয়ে পথ চলতি মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
সিপিআইএম’র অভিযোগ, বিজেপির উগ্র সমর্থকরা এরপর চলে আসে মেলারমাঠ সিপিআইএম’র পশ্চিম জেলার কার্যালয়ে।এখানেও ভাঙচুর করা হয়।গাড়িতে দেওয়া হয় আগুন।একে একে সাতটি গাড়ি নিমিষেই আগুনের গ্রাসে চলে যায়। সিপিআইএম’র ডিসি অফিস আক্রমনের পর বিজেপি’র মিছিলে থাকা লোকজন প্রবেশ করে “প্রতিবাদী কলম” পত্রিকায়। সংবাদ পত্রের অফিসে চালানো হয় ভাঙচুর। পত্রিকার সম্পাদক অনল রায় চৌধুরীর গাড়িতে দেওয়া হয় আগুন। পত্রিকার সম্পাদকের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তাঁর অফিসে তাণ্ডব চালায়। আহত হন তিনজন সাংবাদিক।
রাতে প্রতিবাদী কলম পত্রিকা অফিসে ছুটে যান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক ও তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।তারা গোটা অফিস ঘুরে দেখেন।এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *