* রাজ্য রাজনীতিতে ফের কি নয়া সমীকরণের আভাস?
* শাসক দলের একজন হেভিওয়েট বিধায়ককে ফোন মমতা ব্যানার্জীর!
* বিধায়কের সঙ্গে নাকি মমতার ৪৫মিনিটেরও অধিক সময় ধরে বার্তালাপ হয়েছে মমতার।
*সেপ্টেম্বরেই নয়া চমক দেবেন শাসক দলের এই হেভিওয়েট বিধায়ক! রটনা রাজনৈতিক মহলে।
ডেস্ক রিপোর্টার,২১আগস্ট:
রাজ্যে রাজনীতিতে এই মুহূর্তে যুযুধান দুই শক্তি শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তুলনায় তৃণমূলের শক্তি খুবই কম।তারপরও তারা চেষ্টা করছে ঝাঁঝ দেখতে।প্রায় প্রতিদিন বাংলা থেকে রাজ্যে উড়ে আসছে তৃণমূল নেতারা। অল্প অল্প করে অন্যান্য দল ছেড়ে ভোটাররা যুক্ত হচ্ছে তৃণমূলে।বিশেষ ভাবে রাজ্যের নখদন্তহীন কংগ্রেসিরা ঝোকতে শুরু করেছে তৃণমূলে।এখন পর্যন্ত নেই দলের কোনো “মুখ”।
২৩-এ রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। ২৪-এ দেশের অষ্টদশ জাতীয় নির্বাচনের সমীকরণ মেলাতে গেলে তৃণমূল।নেত্রী মমতার জন্য ত্রিপুরা দখল একান্ত প্রয়োজন।তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে রণ কৌশল সাজাতে শুরু করেছেন।
ত্রিপুরার রাজনীতির শতরঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুটি সাজানোর কাজ শুরু করলেও তার হাতে নেই সেনাপতি। কাকে সামনে রেখে যুদ্ধের রণ কৌশল সাজাবেন মমতা? রাজ্য রাজনীতিতে যখন এই লক্ষ্য টাকার প্রশ্ন ঘুরাফেরা করছে তখনই মমতার বার্তা পৌঁছে গেলো শাসক দল বিজেপির এক হেভি ওয়েট বিধায়কের অন্দর মহলে।
রাজ্য রাজনীতির অলিন্দের খবর, এই মুহূর্তে ত্রিপুরা জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সেনাপতির সন্ধান পেয়ে গেছেন। তিনি আর কেউ নন,খোদ শাসক দলের একজন হেভিওয়েট বিধায়ক। রাজ্য রাজনীতির দাপুটে রাজনীতিবিদ হিসাবেই তিনি পরিচিত। যুব সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা নেহাৎ কম নয়,বলেই মনে করেন রাজনীতিকরা।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকোষ্টের খবর বলছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক দলের এই হেভিওয়েট বিধায়ককে ফোন করেছিল তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ফোনে বার্তালাপ হয়েছে। শাসক দলের এই বিধায়কও প্রদেশ তৃনমুল কংগ্রেসের ব্যাটন হাতে নেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।অর্থাৎ দিদি মমতার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বিধায়ক ভাই।অর্থাৎ জলের মত পরিষ্কার আগামী কিছু দিনের মধ্যেই নতুন চমক দেখা যেতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে।তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সেপ্টেম্বরের শেষ লগ্ন পর্যন্ত। এমনই আভাস শাসক দলের বিধায়কের ঘনিষ্ট মহলে।