ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ জানুয়ারি।।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৈরি হচ্ছে একের পর এক ক্লাইম্যাক্স। পাহাড়ের শাসক দল তিপ্রামথার সঙ্গে কে সংসার করবে?এই প্রশ্ন যখন উঁকি দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে, তখনই দিল্লিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে মথার নেতৃত্ব। অন্যদিকে মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের উপর আস্থা হারিয়ে বাম- কংগ্রেস জোটের বড় শরিক বামফ্রন্ট প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। তারা কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দিয়েছে ১৩ টি আসন। তবে কংগ্রেস এই আসন বন্টন প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট কিনা, তা পরিষ্কার হবে বৃহস্পতিবার সকালেই।
রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ও নাছুর বাধা। তারা যে কোন মূল্যেই সঙ্গে পেতে চায় তিপ্রামথাকে। কারণ তথাকে সঙ্গে টেনে আনতে পারলে মসনদ দখল প্রায় নিশ্চিত।এই কারণেই বিজেপির সমস্ত ফোকাস তিপ্রামথার উপর। বুধবার সকালে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তিনি লিখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মথার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে লিখিত না পেলে তিনি কোন দলের সঙ্গেই সংসার করবেন না ২৩র নির্বাচনে। মথার সুপ্রিমোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পোস্টের পরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। এরপরেই মথার নেতৃত্বের ডাক আসে দিল্লি যাওয়ার জন্য।আগে থেকেই দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ। বুধবার বিকেলে দলের নেতা অনিমেষ দেববর্মা, জগদীশ দেববর্মা মেবার কুমার জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা দিল্লিতে পাড়ি দেন।
দিল্লির খবর অনুযায়ী,এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। বৈঠকের উপপাদ্য ছিল “গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রদ্যুৎ কিশোরের বৈঠকে কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। গভীর রাতের খবর দিল্লির কৌটিল্য মার্ক স্থিত ত্রিপুরা ভবনে এর ম্যারাথন বৈঠক বসে বিজেপি ও মজার নেতৃত্বের মধ্যে এই বৈঠকে বিজেপির পক্ষে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও উপমুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে মাথার পক্ষে ছিলেন অনিমেষ দেববর্মা, জগদীশ দেববর্মা বিজয় কুমার রাঙখল ও চিত্ত দেববর্মা। অনেক রাত পর্যন্ত চলে তাদের বৈঠক।
দিল্লির দেশের রাজধানীর একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গেই জোট করতে চলছে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড না পেলেও তারা নতুন করে আরো চারটি বিধানসভা কেন্দ্র দিতে পারে জনজাতিদের। তাহলেও পাহাড়ের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪টি। অর্থাৎ মোট ৪০ শতাংশ আসন হয়ে যাবে জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এবং অধিক ক্ষমতা দেওয়া হবে এডিসিকে। আর যদি তাই হয়,তাহলেও বিপাকে পড়বে বিজেপি।বলছেন রাজনীতিকরা। তবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার মথার দাবী কতটা মান্যতা দিতে পারবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। কেননা ইতিমধ্যে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেছে তাছাড়া বিজেপি এই দাবি মেনে নিলে বাঙালিদের কাছে রুষ্ঠ হতে হবে।বলছেন রাজনীতিকরা।