সাব্রুম ডেস্ক:১৫ সেপ্টেম্বর।।

রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা-নেত্রী ও কর্মী-সর্মথকরা থেকে শুরু করে , রাজ্যজুড়ে সংবাদ মাধ্যম অফিস কক্ষ এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে সাংবাদিকরা।অভিযোগ বিরোধীদের।এই আবহের মধ্যেই নিজ অফিস কক্ষে আক্রান্ত হলেন খোদ একজন বিডিও।
সঙ্গে ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার ও জিআরএসের সরকারি কর্মীরা। ঘটনা সাব্রুমের মনুবাজার থানার পোয়াংবাড়ী আর,ডি, ব্লকের অন্তর্গত মাধব নগর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন স্কুল মাঠে। বুধবার দুপুরে এই ঘটনা কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে।অভিযোগ,হামলাকারীরা শাসক দলের লোকজন।তারা বিডিও সহ সরকারি কর্মচারীদের মারধর করে।এবং তাদের একটি মোবাইল ভাঙচুরের পাশাপাশি আরো দুইটি মোবাইল ছিনতাইও করে নিয়ে যায়। দুস্কৃতিদের আক্রমণে আহত হয়েছেন
পৌয়াংবাড়ীর ব্লকের বিডিও বিজয়ন্ত সরকার।তার সাত সহকর্মী।ঘটনার পর বিডিও
বিজয়ন্ত সরকার শ্রীনগর আউটপোস্টয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩৩২,৩৫৩, ৩৮৪ ও ৩৪ ধারায় মামলা (৩৪/২১)রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত গ্রেফতারের কোনো খবর নেই।
ব্লক সূত্রের খবর, ২০১১ সালে তৎকাল বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই পৌয়াংবাড়ী ব্লকের ৭৪৯-টি ঘর সেন্সাস করা হয়। এর মধ্যে ৩২০-টি ঘর সংশ্লিষ্ট ব্লকের জন্য বরাদ্দ হয়ে আসে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের জন্য আগের সেন্সাস মোতাবেক রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ঘর তৈরির জন্য ঘর প্রতি ১-লক্ষ ৬৯-হাজার টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন
সেই অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ গুলিতে বলা হয়েছে তালিকায় নাম নথিভুক্ত থাকা বেনিফিশিয়ারীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে।
ইতিমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ গুলি থেকে ১৮৫-জন বেনিফিসারীর কাগজপত্র জমা করা হয়। তবে বাদবাকি আরো ১৩৫-জন বেনিফিসারী তাদের কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি। এই ঘর বন্টন সহ ১৩৫ জন বেনিফিশিয়ারীর কাগজ পত্র জমা করার জন্য মঙ্গলবার পৌয়াংবাড়ী ব্লকের বিডিও বিজয়ন্ত সরকার,পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সহ সমস্ত সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে। তাতে বাধে বিপত্তি। অভিযোগ, বৈঠকে ১৩৫জন বেনিফিশিয়ারী থেকে ঘরের জন্য কাগজ পত্র নিতে আপত্তি জানায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। বিডিও বাধ্য হয়ে ব্লক কর্মীদের দিয়ে তিনটি টিম গঠন করে।প্রতি টিমে সদস্য সংখ্যা নয় জন। বিডিও গঠিত টিমের সদস্যরা বুধবার বেনিফিশিয়ারীদের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে
স্থানীয় মাধবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সংলগ্ন স্কুল মাঠে যায়। অভিযোগ তখন শাসক দলীয় লোকজন ব্লক থেকে আগত টিমের সদস্যদের বারণ করে বেনিফিশিয়ারীদের কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে।তাদের বক্তব্য,১৩৫ বেনিফিশিয়ারী সিলেকশন হয়েছিলো বাম জামানায়।তাই এখন তাদের ঘর দেওয়া চলবে না। তাতে রাজি হয়নি ব্লকের সরকারি কর্মীরা।এই নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা।
আক্রান্ত সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ, স্থানীয় শাসক দলের লোকজন প্রথমে তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে।এরপর করে হাত সাফাই।ভেঙে দেয় মোবাইল।আবার দুটি মোবাইল সেট নিয়েও যায়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ বিডিও
বিডিও বিজয়ন্ত সরকার। বাদবাকি অফিস কর্মীদের সঙ্গে তিনিও আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ।বিডিও সহ বাদবাকি সরকারি কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিডিও বিজয়ন্ত সরকার পুলিশকে পুরো ঘটনা জানিয়ে পুলিশে মামলা রুজু করেন। দক্ষিণ জেলার এডিএম সুরেশ দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে,দোষীদের গ্রেফতার আবশ্যক বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *