ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ মার্চ।।
                 ১৮ থেকে ২৪, প্রদেশ বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতিতে নানান ক্ষেত্রেই ঘটেছে বড় পরিবর্তন। বামেদের পতনের মূল কান্ডারী বিপ্লব কুমার দেবকে ছাড়তে হয়েছিলো মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি। উঠেছিল গেলো গেলো রব! কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দুঃসময়ের আভাকে তুরি মেরে ফেলে দিয়ে তিনি ফিরে এসেছিলেন সদর্পে। স্থান পেয়েছিলেন সংসদের উচ্চ কক্ষে। তারপর ফিরে আসেন সংসদের নিম্ন কক্ষের নির্বাচনী লড়াইয়ের অলিন্দে ।


২০১৯- র লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লব কুমার দেবই ছিলেন প্রদেশ বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার।তৎকালীন সময়ে তিনিই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতিও।স্বাভাবিক ভাবেই ১৯- র লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লব কুমার দেবই ছিলেন একা কুম্ভ। পরিষ্কার ভাবে বলতে গেলে তৎকালীন সময়ে তিনিই ছিলেন প্রদেশ বিজেপির অধিনায়ক। ১৯- র লোকসভা নির্বাচনে শরিক দল আই পিএফটির জুজুকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে পশ্চিম ও পূর্ব আসনে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। তৎকালীন সময়ে কংগ্রেস – সিপিআইএমকে নির্বাচনী মঞ্চে জব্দ করে দুইটি আসন ছিনিয়ে এনেছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। রাজ্য থেকে দুইটি পদ্ম ফুল তিনি উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।


১৯- র পর ২৪। আজকের দিনেও প্রদেশ বিজেপির রাজনীতির সতেজ মুখ বিপ্লব কুমার দেব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভরসা রেখেছেন তার উপরই। আক্ষরিক অর্থে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লবই প্রদেশ বিজেপির “পোস্টার বয়”। বিজেপি পূর্ব আসনে কৃতি সিংকে প্রার্থী করলেও ফোকাসের সেন্টার পয়েন্টে বিপ্লবই। এবারের নির্বাচনেও তিনি মুখ।
              


ইতিমধ্যেই শরিক দল তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর বিপ্লব দেবকে অকৃপণ প্রশংসা করে জনজাতিদের মনে বিপ্লব দেবের স্থান করে দিয়েছেন। রিয়াং শরণার্থী চুক্তির পর জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন প্রকাশ্যেই বিপ্লব কুমার দেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন।স্বাভাবিক ভাবেই অনুধাবন করা যায়, জনজাতিদের মধ্যেও বিপ্লব কুমার দেবের একটা আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।


পরিশেষে বলতে হয়, ২৪- র লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লবই প্রদেশ বিজেপির ব্র্যান্ড। তার প্রতিপক্ষ ইণ্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা থেকে জনমনে বিপ্লবের টিআরপি কয়েকশ যোজন বেশি।


আশীষ কুমার সাহাও রাজ্য রাজনীতির একজন স্বজ্জন ভদ্রলোক। কিন্তু টিআরপি’তে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে টেক্কা দিতে পারছেন না।বলছেন,রাজ্যের আমজনতা।তাই বিপ্লব তার রাজনৈতিক জৌলুস হাতিয়ার করেই ভোটের খেলায় বাজিমাত করবেন।বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *