ডেস্ক রিপোর্টার,২এপ্রিল।।
৪০-এ ৪০। ভুলেও এদিক-সেদিক হয়নি একটি ভোট। আর তাতেই নিশ্চিত ভাবে আরো একটি গার্ডেল টপকালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সঙ্গে প্রমাণিত হলো দলের সমস্ত বিধাকরা তাঁর উপরই আস্থাশীল। অর্থাৎ তাদের নেতা বিপ্লব কুমার দেবই।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার রাজ্যসভার একটি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী ডা. মানিক লাল সাহা। নির্বাচনের আগে গুঞ্জন ছিলো, রাজ্যসভার নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা থাকবে।বিজেপি’র বেশ কয়েকজন বিধায়ক থাকবে ভোট দানে বিরত। এই সংক্রান্ত খবর ছিলো খোদ বিজেপি শিবিরেও। এই কারণেই নির্বাচনের আগের রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সমস্ত বিধায়কদের বৈঠক করেছিলেন।এই বৈঠকে ছিলেন শরিক দল আইপিএফটি’র বিধায়করাও। শাসক জোটের রাতের বৈঠকে বিজেপি-আইপিএফটি’র বিধায়করা ডা. মানিক সাহাকে ভোট দেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অঙ্গীকার বদ্ধ হন। একেই সঙ্গে তারা প্রমান করেন বিপ্লব কুমার দেবই তাদের নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাদের পূর্ন আস্থা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সভার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় কোনো রকম ক্রস ভোটিং হয়নি। শাসক জোটের প্রত্যেক বিধায়ক তাদের প্রার্থী ডা. মানিক সাহাকেই ভোট দিয়েছেন।কারণ বিজেপি-আইপিএফটি শাসক জোটের মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৪০টি। সবকয়টি ভোট পান ডা. মানিক সাহা। এর ফলে ২৫ভোটের ব্যবধানে মানিক সাহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম ভানুলাল সাহাকে পরাজিত করেন।
রাজনীতিকরা বলছেন, এই জয় ২৩-র ভোটের আগে বিজেপি শিবিরে নতুন বার্তা এনে দিয়েছে। দলের মধ্যে এখনো সংস্কারপন্থী বিধায়করা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নানান বিষয়ে তাদের অমিল। তারা দলের কাজকর্মের সন্তুষ্ট নন।তারপরও তারা দলীয় প্রার্থী মানিক সাহাকেই ভোট দিয়েছেন।এবং বিপ্লব দেবের প্রতি ফের তাদের আস্থা প্রদর্শন করেছেন।
সুদীপ রায় বর্মন,আশীষ সাহা বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর গুঞ্জন শুরু হয়েছিলো আরো কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি ত্যাগ করবে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সুদীপ-আশীষরা একা পড়ে যান।
রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা,বিজেপি’র বাদবাকি সংস্কারপন্থী বিধায়করা বুঝে যান বিপ্লব দেবের বিরোধিতা করে তাদের কোনো লাভ হবে না।কারণ ২৩-র ভোটে বিপ্লব কুমার দেবই বিজেপি’র মুখ। সুতরাং ২৩-র নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর না রাখলে তাদের টিকিট পাওয়াও কঠিন হবে।তাতে তাদের রাজনৈতিক জীবন টান পড়বে।স্বাভাবিক ভাবেই বাদবাকি সংস্কারপন্থী বিধকরা তাদের মুখে প্লাস্টার লাগিয়ে নিয়েছে।এবং দেরিতে হলেও তারা আস্থা দেখিয়েছে বিপ্লব কুমার দেবের প্রতি। ” এটা বিপ্লব দেবে প্লাস পয়েন্ট এবং নিঃসন্দেহে জয়ী হয়েছেন বিপ্লব দেব।” বলছেন রাজনীতির প্রাজ্ঞরা। ঘুরিয়ে বললে ২৩-র আগে আরও একটি হার্ডেল টপকে বিপ্লব দেব প্রমান করলেন রাজ্য বিজেপিতে তিনিই শেষ কথা।