“গত কয়েক বছর ধরেই সালেমা অঞ্চলের মানুষ ননীগোপাল করের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। নিগোসিয়েশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে জমি বাণিজ্য জমির জবর দখল, কমিশন বাণিজ্য সবেতেই ননীর হাত। বিজেপির পুরনো কর্মীদের মারধর, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, মন্ডল অফিসে ডেকে এনে রক্তাক্ত করা সর্বক্ষেত্রেই ননী ছিল পারদর্শী। ননী গোপালের অত্যাচারে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিল সালেমার লোকজন। আর সালেমা থানার আইনের রক্ষক পুলিশ ছিল সমাজদ্রোহী তথা শাসকদলীয় নেতা ননী গোপালের হাতের পুতুল।”…

।।বিজেপি নেতা ননী গোপাল কর (লাল বৃত্তের মধ্যে)।।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ জুলাই।।
           জনতার রুদ্ররোষে আক্রান্ত সালেমা মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক।তার নাম তথা ননী গোপাল কর।ননী এলাকায় একজন সমাজদ্রোহী হিসাবে পরিচিত। সালেমা মন্ডল অফিসে ঢুকেই ননীকে গণধোলাই দিলো জনতা।জনতার হাত সাফাইয়ের পর পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচলেন  নেতা ননী গোপাল।
         পলাতক নেতা ননী গোপাল স্থানীয় বিধায়িকা স্বপ্না দাস পালের ঘনিষ্ঠ।অভিযোগ,বিধায়িকার আস্কারাতেই সমাজদ্রোহী ননী সালেমায় কায়েম করেছে নিজস্ব শাসন। সাধারন মানুষকে অত্যাচার থেকে শুরু করে নারীদের সঙ্গে জঘন্য ঘটনা সংঘটিত করেছে ননী।জনতার হাতে ননী আক্রান্ত হওয়ার পর গোটা সালেমা জুড়ে চলছে উৎসবের মেজাজ।সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছে সালেমা বাজারের ব্যবসায়ীরা।

।।বিজ্ঞাপণ।।

গত কয়েক বছর ধরেই সালেমা অঞ্চলের মানুষ ননীগোপাল করের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। নিগোসিয়েশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে জমি বাণিজ্য জমির জবর দখল, কমিশন বাণিজ্য সবেতেই ননীর হাত। বিজেপির পুরনো কর্মীদের মারধর, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, মন্ডল অফিসে ডেকে এনে রক্তাক্ত করা সর্বক্ষেত্রেই ননী ছিল পারদর্শী। ননী গোপালের অত্যাচারে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিল সালেমার লোকজন। আর সালেমা থানার আইনের রক্ষক পুলিশ ছিল সমাজদ্রোহী তথা শাসকদলীয় নেতা ননী গোপালের হাতের পুতুল।

।।সুরমার বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল।।

উত্তেজিত জনতা মণ্ডল অফিসে ঢুকেই পেয়ে যায় বিধায়িক স্বপ্না দাস পালের কমিশন বাণিজ্যের এজেন্ট তথা নেতা ননী গোপাল করকে। অফিসের মধ্যেই ননী গোপালকে গনধোলাই দেয়।

শুধু কি তাই, ননীর অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি সালেমা অঞ্চলের সুন্দরী যুবতী ও গৃহবধূরা। বহু মানুষের সংসার নষ্ট করেছে ননী। একজন জনজাতি যুবতীকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর সালেমা থানা তার বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করে নি।এখন এই যুবতী নিখোঁজ। তা নিয়ে অবশ্যই পুলিশের কোনো হেলদোল নেই।

।।বিজ্ঞাপণ।।

সালেমার খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরেই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের কমিশন নিয়ে ঝামেলা শুরু করেছে মণ্ডল নেতা ননী গোপাল। তার পছন্দের ঠিকাদার ব্যতীত কেউ সালেমাতে টেন্ডার ড্রপ করতে পারে না। তাকে মোটা অঙ্কের কমিশন না দিলে কাজ করা অসম্ভব। সরকারি দপ্তরের টেন্ডার কেন্দ্র করেই স্থানীয় জাতি – জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ শনিবার দুপুরে বিজেপির সালেমা মণ্ডল অফিসে হামলা করে।  মানুষের দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ আঁচড়ে পড়ে এদিন।

।।বিজেপি নেতা ননী গোপাল কর (লাল বৃত্তের মধ্যে)।।

” কি তাই ননীর অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি সালেমা অঞ্চলের সুন্দরী যুবতী ও গৃহবধূরা। বহু মানুষের সংসার নষ্ট করেছে ননী। একজন জনজাতি যুবতীকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।”



এই খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-just-one-mistake-will-cancel-the-license-of-foreign-liquor-counters-in-west-tripura-tripura-news-%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%a7%e0%a7%81-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ad/

উত্তেজিত জনতা মণ্ডল অফিসে ঢুকেই পেয়ে যায় বিধায়িক স্বপ্না দাস পালের কমিশন বাণিজ্যের এজেন্ট তথা নেতা ননী গোপাল করকে। অফিসের মধ্যেই ননী গোপালকে গনধোলাই দেয়। মানুষ যে যার মতো করে হাত সাফাই করে সালেমা মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক ননী গোপাল করের উপর। এক সময় ননী গোপাল গণধোলাই থেকে বাঁচতে কোনো রকমে মণ্ডল অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।এরপর প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় নিরাদপ ডেরায়। জনতার রোষে পুলিশও ননীকে বাঁচানোর জন্য মণ্ডল অফিসে ঢুকার সাহস করে নি। শেষ পর্যন্ত উত্তেজিত জনতা মন্ডল অফিসেও ভাঙচুর করে।

এক সময় ননী গোপাল গণধোলাই থেকে বাঁচতে কোনো রকমে মণ্ডল অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।এরপর প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় নিরাদপ ডেরায়। জনতার রোষে পুলিশও ননীকে বাঁচানোর জন্য মণ্ডল অফিসে ঢুকার সাহস করে নি।

এই ঘটনার পর শাসক দল বিজেপির অন্যান্য নেতারাও দূরে সরে যান। তারাও মন্ডল অফিসে প্রবেশ করার সাহস করেন নি। ননীর উপর জনতার হাত সাফাইয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা সালেমা জুড়ে সাধারণ মানুষের চোখে মুখে দেখা যায় স্বস্তির নিঃশ্বাস।খুশিতে সালেমা বাজারে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে। আগামী দিনে ননী গোপাল কর সালেমা এলাকায় ঢুকতে পারবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক লগ্নে সালেমা মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক ননী গোপাল করের উপর জনতার রোষ আঁচড়ে পড়ার ঘটনায় নিঃসন্দেহে বিজেপির জন্য বিষ ফোঁড়ার মতো অবস্থা।
         


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *