#Gandachhera।Ranir Bazar।violence।Janatar Mashal।
রানির বাজারে কালী মন্দির ও শিবলিঙ্গ ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রশাসন আজও সনাক্ত করতে পারিনি। বা করে নি।

“অগাষ্ট মাসের শেষ লগ্নে রাজ্যে রেকর্ড সৃষ্টিকারী বন্যার পর গণ্ডাছড়ার ঘটনা পর্দার আড়ালে চলে যায়। সাম্প্রদায়িক হিংসায় শরণার্থী হওয়া মানুষগুলির কেমন আছে? অবশ্যই কাউর কাছে কোনো খবর নেই।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ৭সেপ্টেম্বর।।
তারিখ : ১২ জুলাই, ২০২৪
স্থান: গণ্ডাছড়া
সময়: রাত আনুমানিক ৯টা।
অপরাধ: হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গবাধি পশু হত্যা।
অপরাধী: সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতী।

গণ্ডাছড়ায় দুষ্কৃতীর হামলার বাঙালি অংশের মানুষ এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলো। তাদের সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে যায় সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা।

তারিখ: ২৫ আগস্ট
স্থান: রানির বাজার
সময়: রাত আনুমানিক ১০টা
অপরাধ: হামলা, লুটপাট , অগ্নিসংযোগ
অপরাধী: সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতী।

বাঙালিদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের কেন পুলিশ গ্রেফতার করে আইনের ব্যারিকেড নিয়ে আসছে না?

গণ্ডাছড়া ও রানির বাজার।রাজ্যের দুইটি পৃথক স্থান। অপরাধীর চেহারা ভিন্ন। কিন্তু অপরাধীদের উদ্দেশ্য এক। অপরাধের ধরণও একই। তারপরও প্রশাসনের চোখে এক যাত্রায় পৃথক ফল। কারণ গণ্ডাছড়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে প্রায় দুই মাস হতে চলছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি গণ্ডাছড়ার হিন্দু বাঙালি গ্রামগুলিতে হামলাকারী আজও বহাল তবিয়তে। হামলার শিকার হওয়া লোকজন সর্বস্ব হারিয়ে ঠাঁই নিয়েছে শরণার্থী ক্যাম্পে। আজও তারা শরণার্থী ক্যাম্পের আবাসিক।

গন্ডাছড়ার ঘটনার হুবহু অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল রানির বাজারে। কিন্তু ঘটনার পরপর পুলিশ প্রশাসন খোলস ছেড়ে এড়িয়ে আসে। গ্রেফতার করে চার হামলাকারীকে। তবে রানির বাজারে কালী মন্দির ও শিবলিঙ্গ ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রশাসন আজও সনাক্ত করতে পারিনি। বা করে নি। একই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরপাকরের সময় রাজ্য প্রশাসনের দ্বৈত চরিত্র কেন? প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের শুভ বুদ্ধির সম্পন্ন মানুষ।

আরো খবর পড়ুন

কিন্তু আজ পর্যন্ত বিচার পান নি শরণার্থী ক্যাম্পের আশ্রয় নেওয়া লোকজন। কেন তারা বিচার পান নি?

গত ১২ জুলাই রাতে গন্ডাছড়ার ঘটনার বীভৎসতা নতুন করে বলার কিছু নেই। দুষ্কৃতীর হামলার বাঙালি অংশের মানুষ এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলো। তাদের সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে যায় সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা। লুটপাট চালানোর পর বাড়িঘরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার জন্যই দুষ্কৃতীরা একের পর এক বাঙালি বাড়িতে হামলা, লুটপাটের শেষে আগুন দিয়েছিলো। সাম্প্রতিককালে এটাই ছিল রাজ্যে সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা।

ঘটনার রাতেই বাঙালি অংশের লোকজন সর্বস্ব হারিয়ে শরণার্থী তকমা লাগিয়ে ছিলো তাদের ললাটে। এরপর থেকে এখনো তারা আছে শরণার্থী শিবিরের আবাসিক হয়ে । ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী দল নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গিয়েছিলেন। শুনিয়েছেন আশার বাণী।

আরও খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1828359231940239579?t=OOc9l9S-7JEj0l5FYJSf6g&s=19

কিন্তু আজ পর্যন্ত বিচার পান নি শরণার্থী ক্যাম্পের আশ্রয় নেওয়া লোকজন। কেন তারা বিচার পান নি? আপাতত তারও কোনো উত্তর নেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর রয়েছে।

ধলাই পুলিশ সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে নিরাশ করে। তাদের বিচারের বাণী কাঁদছে নীরবে নিভৃতে।
অগাষ্ট মাসের শেষ লগ্নে রাজ্যে রেকর্ড সৃষ্টিকারী বন্যার পর গণ্ডাছড়ার ঘটনা পর্দার আড়ালে চলে যায়। সাম্প্রদায়িক হিংসায় শরণার্থী হওয়া মানুষগুলির কেমন আছে? অবশ্যই কাউর কাছে কোনো খবর নেই। কিন্তু এই সমস্ত মানুষ সরকারের কাছে আশা করেছিলো,তাদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও আগুন লাগানো ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। তারা আস্থা রেখেছিলো মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার পুলিশের উপর।কিন্তু ধলাই পুলিশ সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে নিরাশ করে। তাদের বিচারের বাণী কাঁদছে নীরবে নিভৃতে।

গণ্ডাছড়ার শরণার্থীদের কথায়, কলেজ ছাত্র পরমেশ্বর রিয়াংযের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে তুলেছে আইনের কাঠ গড়ায়। এটাই প্রশাসনের কাম্য। তার জন্য প্রশাসনকে দিতে হয় সাধুবাদ। কিন্তু
বাঙালিদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের কেন পুলিশ গ্রেফতার করে আইনের ব্যারিকেড নিয়ে আসছে না?

আরও খবর পড়ুন
P – interest: https://pin.it/79GT8rrwX
রাতের আঁধারে রানির বাজারে মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা সংঘটিত করেছিল দুষ্কৃতীরা পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করে।প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ অবরোধ করেছিলো জাতীয় সড়ক। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, যে সকল দুষ্কৃতীরা কালীমন্দির ও শিবলিঙ্গ ভাঙচুর করেছে তাদেরকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন সেই পথে হাটে নি। কেন? প্রতিবন্ধকতা কোথায়? গন্ডাছড়ার শরণার্থীদের কথায়, ১২ জুলাই রাতে যারা বাঙালি মহল্লায় আগুন দিয়েছিল,তারা সবাই জনজাতি অংশের মানুষ। রানির বাজারের কালি মন্দির ভাঙ্গার পর স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের তীর ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীদের দিকে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বক্তব্য, প্রশাসন দুই জায়গাতে জনজাতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীদের কৌশলে বাঁচিয়ে দিয়ে রাজ্যের সর্ব বৃহৎ জনগোষ্ঠী হিন্দু বাঙালিদের পায়ে পেরেক পুঁতে দিয়েছে।এই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে রাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষকে।

তাহলে কি ভোটের রাজনীতিতে রাজ্যের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী হিন্দু বাঙালিদের ভোটের কোনো প্রয়োজন নেই শাসক দল বিজেপি’র? একই অবস্থা রাজ্যের অপর দুই জাতীয় রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিএমের।
তাহলে কি ভোটের রাজনীতিতে রাজ্যের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী হিন্দু বাঙালিদের ভোটের কোনো প্রয়োজন নেই শাসক দল বিজেপি’র? একই অবস্থা রাজ্যের অপর দুই জাতীয় রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিএমের। গন্ডাছড়ার হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং রানির বাজারে কালী মন্দির ও শিবলিঙ্গ ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফরের জন্য কংগ্রেস – সিপিএমও তো কোন সদর্থক ভূমিকা নেয় নি। তাহলে কোন পথে যাবে রাজ্যের অসহায় হিন্দু বাঙালি জাতি?

কোন পথে যাবে রাজ্যের অসহায় হিন্দু বাঙালি জন গোষ্ঠী?
আগামী দিনে সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে তারা কি ডাক দেবে ভোট বয়কটের?অন্তত এই মুহূর্তে রাজ্যের বাঙালি সমাজে চলছে এই সংক্রান্ত হিস্ হিস্। কারণ, সব কিছুর পেছনেই বড় সত্য “ভোট রাজনীতির খেলা”।