তৃতীয় বার মোদী জোয়ারের কাছে আটকে যায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিজয় রথ।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।বাদবাকি ২২টি আসন গিয়েছে আপের ঝুলিতে।কংগ্রেসের কৌটা শূন্য। ক্ষমতা দখলের জাদু সংখ্যা ৩৬। তার বহু আগেই আটকে যায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ আদমি পার্টি।
ডেস্ক রিপোর্টার, ৮ ফেব্রুয়ারি।। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত ভাবেই দেশের রাজধানীতে ঘটলো ক্ষমতার পালা বদল। দুর্ভাগ্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। টানা দুইবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের হার্ডেল টপকালেও, হ্যাট্রিক থেকে দূরে থেকে যায়।২৫- র বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীর জনতা পার্টির কাছে ক্লিন স্যুইপ হয়ে যায়। অন্যদিকে দীর্ঘ ২৭ বছর পর ফের দিল্লির ক্ষমতায় বসে ভাজপা। দিল্লির ৭০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত করেছিলো বিজেপির দিকেই। শেষ পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণার পর অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলো দেশের বিভিন্ন সংস্থার করা বুথ ফেরত সমীক্ষা।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।বাদবাকি ২২টি আসন গিয়েছে আপের ঝুলিতে।কংগ্রেসের কৌটা শূন্য। ক্ষমতা দখলের জাদু সংখ্যা ৩৬। তার বহু আগেই আটকে যায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ আদমি পার্টি।
স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে সাড়া জাগিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে উত্থান হয়ে ছিলো আম আদমি পার্টির। দিল্লির মানুষ আপের উপর আস্থা রেখেছিলো। টানা দুইবার ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু তৃতীয় বার মোদী জোয়ারের কাছে আটকে যায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিজয় রথ। নির্বাচনের আগে আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেফতার তার দল আপকে খাদের কিনারায় নিয়ে যায়।
মানুষ বুঝে যায়, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি মুক্ত দিল্লি গড়ার ডাকের পেছনে ছিলো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কালো হাত। তাই তারা ভরসা করতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আপের আগে দিল্লিতে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলো কংগ্রেস। তৎকালীন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিতকে ক্ষমতাচুত্য করে দিল্লির মসনদে বসেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
