ডেস্ক রিপোর্টার, ১লা এপ্রিল।।

                        না ফেরার দেশে গিয়েও শান্তিতে নেই ঊষা বাজারের ভারত রত্ন সংঘের খুন হওয়া সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি। তার ঊষা বাজারস্থিত বাড়ি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় এসবিআই শাখা। দূর্গা প্রসন্ন তার বাড়ি বন্দক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলো। খুন হওয়ার ছয় মাস আগে নেওয়া ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ করতে পারেন নি দুর্গা। এখন তার স্ত্রীর এক মাত্র কোলের পুত্র সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় আসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই।

         ঊষা বাজারের স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য,  দূর্গা প্রসন্ন আগে জমির ব্যবসা করলেও তার কাছে কখনো টাকার সিন্দুক ছিলো না। সিপিডব্লিউডি’ র নিগোসিয়েশনের বাজার ধরার জন্য দুর্গার প্রয়োজন ছিল অনেক টাকার।কারণ রাজু বর্মনকে সরাতে হলে দুর্গাকে সন্তুষ্ট করতে হয়েছিল শাসক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের। তার জন্য দুর্গার খরচ করতে হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ ।কিন্তু দুর্গার কাছে সেই অর্থের সংস্থান ছিলো না। তবে কিছু কিছু অর্থ পেয়েছিল রাজু বিরোধী গোষ্ঠীর ঠিকাদারদের থেকে।

ঋণ মিটিয়ে দিতে ব্যর্থ দুর্গা প্রসন্ন- র বাড়ি ক্রোক করার নির্দেশ ব্যাংকের।

শাসক দলের রাজ্য নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতা সহ রাজুর সঙ্গে থাকা লোকজনকে নিজের দিকে  আনার জন্য দুই হাতে টাকার নোট ছিটিয়ে ছিলো দূর্গা। এই সময়ে নিজেকে নেতা হিসাবে প্রমাণ করতে এলাকার দুঃস্থ অসহায় লোকজনের পাশেও দাঁড়িয়ে ছিলো দূর্গা। গরীব মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে মানুষের মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানিগুলি থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তিও মিটিয়েছিল দুর্গা প্রসন্ন। তার ধারণা ছিলো পুরোপুরি ভাবে সিপিডব্লিউডি’  দখল নিতে পারলে তার টাকার অভাব হবে না। মিটিয়ে নেবে ব্যাংকের ঋণও।


ভিকির চোখে মুখে ছিলো নিগোসিয়েশন সাম্রাজ্য দখলের এক অলীক স্বপ্ন।

দুর্গা খুনের পরের দিনই সিপিডব্লিউডি’ র কমিটি গঠনের কথা ছিলো। শাসক দলের নেতারা তাকে দিয়েছিল সবুজ সঙ্কেত। তার দুইদিন আগে রাজুর দুই ভাইকে এলাকা ছাড়া করেছিলো ভিকি।এয়ারপোর্ট থানার পুলিশকে নিজের পকেটে নিতে সক্ষম হয়েছিলো। তাই ভিকির চোখে মুখে ছিলো নিগোসিয়েশন সাম্রাজ্য দখলের এক অলীক স্বপ্ন।কিন্তু তার এই স্বপ্নে কাটা হয়ে দাঁড়ায় তারই প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী রাজু বর্মন। তবে তার সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলো বিমান দাস। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন অপূর্ন রেখেই বুলেটের ঝাঁঝরা হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে  দূর্গা।

দুর্গার বাড়ি ব্যাঙ্ক থেকে ছাড়িয়ে আনতে তাদের কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।

দুর্গার মৃত্যুর পর তার ছায়া সঙ্গী চন্দন চক্রবর্তী ও সুদীপ্ত ওরফে টিনটু শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ব্যাটন ধরেছে। রোজগার করছে অর্থ। কিন্তু দুর্গার বাড়ি ব্যাঙ্ক থেকে ছাড়িয়ে আনতে তাদের কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। চন্দন – সুদীপ্তর এই আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকার  কিছু যুবক।এরাই এখন চন্দন – সুদীপ্তকে গণ ধোলাই দিয়ে কলকাতার বিমানের টিকিট ধরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।

#Tripura #Ushabazar #Baratratna #sangha #JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *