দূর্গা প্রসন্নর মৃত্যুর পর সিপিডব্লিউডির ক্ষমতা দখল করে ঊষা বাজারের জামাই চন্দন চক্রবর্তী। মূলত সে কলকাতার বাসিন্দা। চন্দন নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ক্ষমতা দখল করতে গোটা অঞ্চলের দাগি বাম মাফিয়াদের টেনে নিয়ে এসেছে দলে। আর তাতেই বিজেপির লোকজনের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
২০২৩ – র বিধানসভা নির্বাচনে বড়জলা কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির।একজন ডাক সাইটের চিকিৎসক পরাজিত হয়েছে সাধারণ কৃষকের কাছে। বিজেপির এই পরাজয়ের পেছনে ছিলো বড়জলা কেন্দ্রের মাফিয়া কার্যকলাপ। তারপরও শিক্ষা হয় নি ভারতীয় জনতা পার্টির।২৩- এ ক্ষমতায় আসার পর সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন কেন্দ্র করে খুন হয়ে ছিলেন ভারত রত্ন সংঘের তৎকালীন সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব। এরপর থেকেই এক অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছিলো ঊষা বাজারে। বলা ভালো গোটা বড়জলা কেন্দ্রে।
দূর্গা প্রসন্নর মৃত্যুর পর সিপিডব্লিউডির ক্ষমতা দখল করে ঊষা বাজারের জামাই চন্দন চক্রবর্তী। মূলত সে কলকাতার বাসিন্দা। চন্দন নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ক্ষমতা দখল করতে গোটা অঞ্চলের দাগি বাম মাফিয়াদের টেনে নিয়ে এসেছে দলে। আর তাতেই বিজেপির লোকজনের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
সম্প্রতি চন্দন চক্রবর্তীর দলে নতুন সংযোজন বড়জলার দাগি অপরাধী রাকেশ সিনহা।
এলাকার খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি চন্দন চক্রবর্তীর দলে নতুন সংযোজন বড়জলার দাগি অপরাধী রাকেশ সিনহাকে।রাকেশ সিপিআইএমের প্রথম সারির ক্যাডার ও পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাফিয়া। তার বিরুদ্ধে আগরতলার বিভিন্ন থানায় কুড়িটির উপর মামলা ঝুলছে। খুন, প্রকাশ্যে বুলেট নিক্ষেপ, অপহরণ ও জমি সংক্রান্ত মামলা। তার কাছ থেকে পুলিশ দুইবার করে পেয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্রও। ১৮ ও ২৩- র ভোটে বড়জলা কেন্দ্রে রাকেশ ছিলো সিপিআইএমের সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল মুখিয়া। আর এখন এই রকেশই হলো বড়জলা কেন্দ্রের” অর্থ ভাণ্ডার ” সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশিনের মূল পান্ডা চন্দন চক্রবর্তী রাইট হ্যান্ড।
।রাকেশ সিনহা।
১৮ ও ২৩- র ভোটে বড়জলা কেন্দ্রে রাকেশ ছিলো সিপিআইএমের সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল মুখিয়া।
হায় রে বিজেপি! এই রাকেশই এখন চন্দনের সর্বক্ষণের সঙ্গি। সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশিনের কাট মানিও যাচ্ছে রাকেশের পকেটে। শুধু কি তাই, রাকেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখতে চন্দন তাকে নিয়ে চলে যায় উদয়পুর মাতা বাড়িতে। সেলফি তুলে তা সমাজ মাধ্যমেও পোস্ট করেছে। রাত বিরাতেই বসছে নানান হোটেলের টেবিলে।
দাগি বাম সন্ত্রাসীর সঙ্গে চন্দনের মাখামাখি দেখে ভরকে উঠেছে বড়জলা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মীরা। ২৩- র নির্বাচনে মাথায় লাল শালু বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে মাঠে নেমেছিল রাকেশ।
দাগি বাম সন্ত্রাসীর সঙ্গে চন্দনের মাখামাখি দেখে ভরকে উঠেছে বড়জলা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মীরা। রাকেশ প্রকাশ্যে চলে আসাতে মূলত ক্ষতি হবে বিজেপির। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ভালো ভাবে মেনে নিতে পারছে না। বাম জামানায় রাকেশ সিনহার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ছিলো বড়জলা কেন্দ্রের অবাম লোকজন। ১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাকেশ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসেছিল এলাকাতে। নির্বাচনের সময়ে মাথায় লাল শালু বেঁধে নেমে গিয়েছিল ময়দানে । কিন্তু সিপিআইএম ক্ষমতায় না আসাতে পুনরায় চলে গিয়েছিল অন্তর্ধানে। দীর্ঘ দিন ছিলো রাজ্যের বাইরে। সাম্প্রতিক কালে চন্দনের অভয় পেয়ে রাকেশ পুনরায় চলে আসে এলাকায়। এখন চন্দনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে নেমে পড়েছে সমস্ত অবৈধ কাজে। যদিও রাকেশ এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেয় নি।
চন্দনের মতো উই পোকাকে বিশ্বাস করলে ঠগতে হবে বিজেপিকে। ২৮ – র বিধানসভা নির্বাচনেও বড়জলা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টিকে খোকলা করে দেবে জামাই চন্দন।
বিজেপির লোকজনের বক্তব্য, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আসনটি বিজেপি না পেলেও চন্দনের কিছু আসে যায় না।কারণ এই সময়ের মধ্যে সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চন্দন। প্রয়োজনে রাকেশ সিনহার মতো দাগি বাম সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চন্দন বড়জলা কেন্দ্রে বিজেপির কফিনে পেরেক পুঁতে দিতে চাইছে চন্দন। অতীতে চন্দন নিজেও ছিলো কট্টার বাম সমর্থক। এবং বাম জামানার সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন কাণ্ডের “বস” ভট্টাচার্যের কোর টিমে।
চন্দন চক্রবর্তী
তাই চন্দনকে বিশ্বাস করলে বিজেপিকে ২৮ – র বিধানসভা নির্বাচনে ভেসে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। অর্থাৎ নির্বাচনের আগেই বড়জলা কেন্দ্রটি যে বিজেপি বিরোধীদের উপহার দেবে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিজেপির আনকোরা দুধওয়ালা নেতা রতন ঘোষ সহ তোলাবাজ মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহার রাজনৈতিক গভীরতা কতটা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ ঊষা বাজারের বিজেপি কর্মীরা।