ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
         ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১৬সদস্যের “নির্বাচন পরিচালনা কমিটি” ঘোষনা দিয়েছে বিজেপি। এই কমিটিতে স্থান পান নি রাজ্য বিজেপির দীর্ঘ দিনের লড়াকু নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। আর তাতে নিজের অভিমান চেপে রাখতে পারেন নি মন্ত্রী। তিনি দলীয় নেতৃত্বকে কোনো রকম দোষারোপ না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরলেন নিজের “নিবাচনী অভিজ্ঞতা”। মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল  সোশ্যাল মিডিয়ায় যা বলেছেন, তা হুবাহু তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।


“ত্রিপুরাতে বিজেপি প্রথম রাজ্যব্যাপী বিস্তার লাভ এবং আমার রাজনীতি শিক্ষা শুরু হয় , ১৯৯১ সালে শহীদ শ্যামহরি শর্মার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার , ১৯৯২ সালে স্বউদ্যোগে বিজেপির ডাকে প্রথম ত্রিপুরা বনধ্ এবং ১৯৯৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রথম সারা রাজ্যে ৪০ জন প্রার্থী নিয়ে স্বর্গীয় সমীর পালের নেতৃত্বে নির্বাচন করার যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি , সেটা যে কোন নির্বাচনী মোকাবিলাকে পরাজয় করা সম্ভব । কারন হচ্ছে , তখন নির্বাচনী ময়দানে তাবড় তাবড় দুটি জাতীয় দলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল ।তখন বিজেপির পরিস্থিতি হালচাল ছিল বাঘের সামনে খরগোশের দৌড়। তখন দিল্লী থেকে কেহই ত্রিপুরাকে সেই রকম গুরুত্ব দিত না ।স্বর্গীয় তপন সিকদার বংশীলাল সৌনী কলকাতা থেকে আসত এবং শিলচর থেকে কবীন্দ্র পুরকায়স্থ আমাদেরকে সর্বদা খোঁজখবর নিত।এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনে ১৯৯৬ , ১৯৯৮ ,১৯৯৯ সালে যীষ্ণু দেববর্মা তিন বারের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন , তখনও নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন জেলা এবং টি ইউ জে এস , তৃনমুল কংগ্রেস বিজেপির নির্বাচনী এলায়েন্স পার্টনার তাদেরকেও সামলিয়েছি ।১৯৯৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৭% ভোট পেয়েছিল । ২০০৯ সালে ত্রিপুরা এ ডি সি নির্বাচনের নির্বাচনী চেয়ারম্যান (ইনচার্জ ) হয়ে সমস্ত এডিসি এলাকায় ঘুরে বিজেপি প্রার্থীদের সাথে থেকে এডিসি নির্বাচনের নেতৃত্ব দিয়েছি ।তারপরও বলব আরও অনেককিছু বিজেপির কাছ থেকে শেখার বাকী আছে । যা শিখেছি বিজেপি থেকেই শিখেছি । যা শিখব বিজেপির জন্যই শিখবো । সুতরাং আর কোনোকিছু হারানো বা পাওয়ার কোন উদ্দেশ্যই  নেই।”


রাজনীতিকরা বলছেন, মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন অভিজ্ঞতার গভীরতা।দলের দুর্দিনে তিনি কিভাবে প্রতিটি নির্বাচনে লড়াই করেছেন। তখন বিজেপিকে কেউ ধাতব্যের মধ্যে ধরতো না।  তদানীন্তন সময়ে রাজ্য রাজনীতির দুই দানবীয় শক্তি সিপিআইএম ও কংগ্রেসের যাতাকলে পরেও বিজেপির গৈরিক পতাকাকে তুলে ধরেছিলেন গেরুয়া শিবিরের বহু সংগ্রামের সৈনিক রাম প্রসাদ পাল। আজ কালের বিবর্তনে বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে। বসেছে রাজ্যের মসনদে। তবে আজও ব্রাত্য আগরতলার কৃষ্ণনগরের গেরুয়া বাড়ির সর্বক্ষণের সঙ্গী রাম প্রসাদ পাল ওরফে ‘রামু দা’ ।
                       
                       
                       
                       
                 
                 
                 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *