ডেস্ক রিপোর্টার: ৩জুলাই
রাজ্য বিজেপি’র ঘরোয়া পরিস্থিতির
খোঁজ নিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা নেডার চেয়ারম্যান হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে দিল্লিতে তলব।
শুক্রবার রাতেই দিল্লিতে ছুটে যান হিমন্ত। হিমন্তকে দিল্লির তলব রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।এই মুহূর্তে দিল্লিতে অবস্থান করছেন
সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা ও শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। হিমন্তের ঝটিকা দিল্লি সফর ও সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা ও শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথের দিল্লিতে অবস্থান কেন্দ্র করে নতুন অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।
বিগত কিছু দিন ধরেই বিভিন্ন কারণে প্রদেশ বিজেপির সংসারে মৃদু কম্পন শুরু হয়।বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ সংস্কারপন্থীরা প্রকারণতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলেন।তবে
সংস্কারপন্থীদের এই আওয়াজ ধূপে না টিকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একে বারেই হেলাফেলা করছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশারাদরা। সম্প্রতি চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসেছিলেন রাজ্যে।তারা প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে পৃথক ভাবে কথাও বলেছিলেন।পরবর্তী সময়ে তারা বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা করেন।
দিল্লি সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রিপোর্ট পেয়েই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জরুরী তলব করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে।কারণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেডার চেয়ারম্যান।তাছাড়া ত্রিপুরাতে বিজেপি সরকার গঠন তারও ভূমিকা রয়েছে।এবং রাজ্য বিজেপির সংগঠন সম্পর্কে তার তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে।সব মিলিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সম্পর্কে সম্পুর্ন ভাবে ওয়াকিবহাল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।এই জন্যই রাজ্য বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নিতে হিমন্তকে জরুরী তলব করেছে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অসমে একদিকে বেহাল কোভিড পরিস্থিতি অন্য দিকে নাগাল্যান্ডের সঙ্গে সীমানা বিবাদ নিয়ে চলছে ঝামেলা।অসমের এই পরিস্থিতিতে “ত্রিপুরার” খোঁজ নিতে হিমন্তের দিল্লি ডাক পাওয়া যে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি পার্লামেন্টের স্টান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে গিয়েছিলেন পূর্ব আসনের সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।মিটিং শেষে সাংসদের দিল্লিতে আসার কথা ছিলো।কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে রাজধানীতে অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়েছেন।এইজন্য সাংসদ রেবতী ত্রিপুরাকেও দিল্লিতে অবস্থান করতে হচ্ছে বলে সর্ব ভারতীয় বিজেপি সূত্রের খবর। রাজ্য সরকারের কাজেই দিল্লিতে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।তাকেও দিল্লিতে অবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দিল্লির বিজেপির সদর দপ্তর সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই প্রদেশ বিজেপির সাংগঠনিক স্তর ও
সরকারের অঙ্গ-প্রতঙ্গে ঘটতে পারে অদল-বদল। হয়তো বা অনেক ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত ভাবে পাল্টে যেতে পারে সমীকরণ। এমনই ইঙ্গিত করছে দিল্লিতে বসে থাকা বিজেপি নেতৃত্ব।তবে কথা বলবে সময়ই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *