ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭মার্চ।।
আবারও মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক মুখ। রাজ্যের টিন ব্যবসায়ীদের দিয়েছেন কড়া বার্তা। তাদের বিরুদ্ধে ডিজস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টস অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকদের। হ্যাঁ, তবে সমস্ত টিন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নয়।তাদের মধ্যে থাকা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন।
সম্প্রতি কাল বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বহু মানুষের বাড়িঘরের টিনের ছাউনী উড়িয়ে নিয়ে যায়। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে সাধারণ লোকজন। শিলা বৃষ্টিতে মানুষের ঘরের টিনের ছাউনি হয়ে যায় শত ছিদ্র। কাল বৈশাখীর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ এখনো আছেন শরণার্থী শিবিরে। এই দৃশ্য দেখা যায় চরিলামের রামনগরে। আরোও বেশ কিছু জায়গাতে মানুষের ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
“কারোর সর্বনাশ, তো কারোর ভাদ্র মাস”- কাল বৈশাখী ঝড়ের পর বাংলার এই প্রবাদ বাক্যকে মান্যতা দিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু টিন ব্যবসায়ী তাদের দোকানে থাকা টিনের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা হার মানাচ্ছে বাংলার মন্বন্তরের ব্ল্যাক মার্কেট তথা কালোবাজারিকেও। অসাধু টিন ব্যবসায়ীদের কারনে নাভি শ্বাস উঠছে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটানো অসহায় লোকজনগুলির। নতুন ভাবে টিন ক্রয় করে ঘরের ছাউনী দেওয়া তাদের কাছে কষ্ঠ সাধ্য হয়ে উঠে।কারণ বিক্রেতারা টিনের দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।তবে এটা আইন বহির্ভূত।
সংকট মুহূর্তে অতিরিক্ত মুনাফা লুট করার জন্য টিন ব্যবসায়ীদের টিনের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার খবর পৌঁছে যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার কর্ন কুহরে। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পান। এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন–
“কিছুদিন আগে শিলাবৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টিনের ছাউনি দেওয়া বেশ কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পর থেকেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী টিন বিক্রির ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি টাকা নেওয়ার ঘটনা রাজ্য সরকারের নজরে এসেছে। এই ক্ষেত্রে তদন্তক্রমে ‘The Disaster Management Act’ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাজ্য সরকার।”
মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার এই নির্দেশ ক্রমে রাজ্যের আট জেলার জেলা শাসক নিজেদের জেলা গুলিতে থাকা টিন ব্যবসায়ীদের উপর নজর দারি শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা খদ্দেরদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লুটার জন্য টিনের দাম বেশী নিলে প্রশাসন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্টস অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেই। এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য তক্কে তক্কে রয়েছেন বিভিন্ন জেলার ডিএম- রা।ভোটের মুখে নিঃসন্দেহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন রাজ্যের আমজনতা।