ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ জানুয়ারি।
        “Not one inch of land will be given in the 6th schedule areas . If u want to settle people then do so elsewhere in India , Tiprasa people have given enough sacrifice.”

অর্থাৎ ৬ষ্ঠ তফসিল এলাকায় এক ইঞ্চি জমিও দেওয়া হবে না। মানুষের বসতি স্থাপন করতে চাইলে,ভারতের অন্য কোথাও তা করুন। তিপ্রাসা লোক জন যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করেছে।

       * কে বলেছেন একথা?

  রাজ্যের পশ্চিম জেলার জেলাশাসককে দেওয়া এক ব্যক্তির চিঠির প্রেক্ষিতে একথা বলেছেন তিপ্রামথার নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। প্রদ্যুৎ তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কত বড় জাতি বিদ্বেষী? এবং জাতি বিদ্বেষের রাজনীতি করেই রাজ্য রাজনীতিকে ঘোলাটে করতে চাইছেন। অবশ্যই এর আগে প্রদ্যুৎ বহুবার জাতি বিদ্বেষের কথা বলেছেন।

।।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুতের পোস্ট।।

গত ২৪ জানুয়ারি নির্মল আচার্য্য নামে এক ব্যক্তি পশ্চিম জেলার জেলা শাসককে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এই চিঠি গ্রহন করেছে জেলা শাসক কার্যালয়। নাগরিক নির্মল আচার্য্য’ র দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, “রাজ্যের এডিসি অঞ্চলগুলিতে প্রচুর অনুপজাতি মানুষ বসবাস করেন।তাদের বড় অংশ বছরের পর বছর ধরে তারা গৃহহীন। মাথা গুঁজার ঠাঁই নেই। এই সমস্ত অনুপজাতি অংশের মানুষকে এডিসি এলাকায় ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া আবশ্যক।”

।।জেলা শাসককে দেওয়া নির্মল আচার্যের চিঠি।।

নির্মল আচার্য্য তার চিঠিতে দাবি করেছেন, রাজ্যের উত্তর জেলার দশদা, কাঞ্চনপুর,আনন্দবাজার, মাছমারা, খেদাছড়া এবং ধলাইয়ের রাইমাভ্যালি, গন্ডাছড়া, ছইলেংটা, ছামনু, লালছড়া ও কালাঝাড়িতে বসবাসকারী প্রচুর অনুপজাতি অংশের মানুষের থাকার জমি নেই।
গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা বান্দরঘাট, অম্পি, আঠারোভোলা, কিল্লা, যতনবাড়ি, পহরমুড়া, চেলাগাংমুখ ,শান্তির বাজার, সাব্রুম, সোনামুড়া, গর্জি, কুপিলংয়ে বসবাসকারী অনুপজাতি অংশের মানুষের একই অবস্থা। তাদের থাকায় জন্য জমি প্রয়োজন। এই সমস্ত গৃহ হীন লোকদের জমি দেওয়ার জন্য চিঠির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন নির্মল আচার্য্য। এই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রসাশন এখনোও তাদের মতামত জানায় নি।

।।এডিসিতে বসবাসকারী গৃহহীন বাঙালি।।

নির্মল আচার্য্য নামে এক ব্যক্তির চিঠি পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের দপ্তরে পৌঁছতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন জনজাতিদের স্ব – ঘোষিত বুবাগ্রা। তিনি নির্মল আচার্যের চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এবং তিনি লিখেন, “৬ষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী এডিসি এলাকার এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। প্রশাসন অনুপজাতি অংশের মানুষের বসতি স্থাপন করতে চাইলে,ভারতের অন্য কোথায়ও তার ব্যবস্থা করুক।”


এই রাজ্যে বসবাসকারী অনুপজাতি অংশের ৯৯ শতাংশই মানুষই বাঙালি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্য বাঙালিদের ঘিরেই। প্রদ্যুৎ তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের সংকীর্ণ মানসিকতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাহলে ২৩- র ভোটের মুখে প্রদ্যুৎ কেন তার দল তিপ্রামথাতে বাঙালি সেল গঠন করেছিলেন? উঠছে এই প্রশ্নও।
 


আসলে তখন সবটাই ছিলো প্রদ্যুৎ কিশোরের ভোট রাজনীতি। তবে আগামী দিনে এডিসি এলাকায় বাঙালিরা যে আর বসবাস করতে পারবে না, প্রকারান্তে ঘুরিয়ে প্রদ্যুৎ তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *