ডেস্ক রিপোর্টার, ১০আগষ্ট।।
২৩-র ভোটকে সামনে রেখে দুশ্চিন্তায় আছে শাসক দল বিজেপি। দলের নিচু ও মাঝারি স্তরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মানুষ ধীরে ধীরে ঝুঁকতে শুরু করেছে কংগ্রেসের দিকে। নানান কারণেই শাসকদলের উপর ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষের বড় অংশ। এই বিষয়টি বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন শাসকদলের থিঙ্কট্যাঙ্ক। তাই দলের বিক্ষুব্ধ নেতা, কর্মী- সমর্থকদের কাছে বিপ্লব মডেলের পরিবর্তে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক মডেলকেই তুলে ধরছেন দলীয় নেতৃত্ব।
গত সাড়ে চার বছরে শাসক দলের বেশ কিছু একনিষ্ঠ নেতা কর্মী দূরে সরে গেছেন। তাদের সঙ্গে দলের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের বক্তব্য, দল তাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনি। এই মুহূর্তে দলের মধ্যে ভরে গেছে আবর্জনা। তাই দলের সঙ্গে তাদের মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আবার কেউ কেউ স্ব-দলীয় সমাজদ্রোহীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এই অভিমানে তারা সরে এসেছেন দলের মূল স্রোত থেকে। সবমিলিয়ে শাসকদল বিজেপির নিচু ও মাঝারী স্তরে নেতা- কর্মী,সমর্থকদের গ্রাস করেছে হতাশা। এই হতাশার কারণেই কেউ কেউ হাত গুটিয়ে বসে গিয়েছে। কেউ আবার কংগ্রেসের সঙ্গে ঘেষতে শুরু করেছে। এটা অবশ্যই শাসকদলের জন্য শুভ নয়।
দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন দিল্লি নেতৃত্ব। এই কারণেই দলের পুরনো কর্মীদের ফের মূল স্রোতে আনার জন্য কাজ শুরু করেছে শাসক দল। একাজের জন্য রাজ্যস্তর থেকে বুথস্তর পর্যন্ত ছোট ছোট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকজন বিক্ষুব্ধ নেতা,কর্মী- সমর্থকদের দলে টেনে আনবে।এই বিধান দিয়েছে দিল্লি।
ইতিমধ্যে বুথ, জেলা ও মন্ডল স্তরের নেতারা বিক্ষুব্ধদের তালিকা তৈরীর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নামের তালিকা অনুযায়ী বিক্ষুব্ধ নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়িতে তারা পৌঁছবে। এবং দলের একনিষ্ঠ নেতা,কর্মী সমর্থকদের মান ভাঙ্গিয়ে মূল স্রোতে আনার চেষ্টা করবে। এই মুহূর্তে দলীয় নেতারা বিপ্লব মডেলকে বাদ দিয়ে মানিক মডেলের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। ডঃ মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসেই রাজ্যের সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দল আন্দোলন করবে দল। চলবে না দমন পীড়ন নীতি। বিরোধীরা করতে পারবে তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ।বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই বক্তব্য প্রচার করছেন সর্বস্তরে। নেতৃত্বের বক্তব্য,তাতে তারা অনেকাংশেই সফল।মানুষ গ্রহণ করছে মানিক মডেলকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ থাকলেও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা দেখাছে বিক্ষুদ্ধরা। তাই ২৩-র ভোট নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব অনেকটাই আশাবাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *