ডেস্ক রিপোর্টার,১৭মে।।
” যাওয়ার জন্য আসিনি, সংগঠন ও সরকারের ইচ্ছাকৃত অহীতকারী ব্যক্তিদের কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।” বক্তা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মঙ্গলবার তিনি নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বনমালীপুর মণ্ডলে দলের কার্যকর্তা ও সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা কালে একথা বলেছেন তিনি।এই বক্তব্যে মাধ্যমে বিপ্লব কুমার দেব স্পস্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন এখন তিনি দল ও সরকারের প্রাণ ভোমরা হয়ে কাজ করবেন। থাকবেন দলের অন্দরে।কিন্তু সরকারের রিমোট কন্ট্রোল থাকবে তাঁর হাতেই। এটাই রণকৌশল হবে বিপ্লব দেব এবং প্রদেশ বিজেপি’র।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জনতার উদ্দেশ্যে বলেন,
“আমার সকল শক্তির উৎস ও জীবনের পরম প্রাপ্তি সাধারনের এই অকৃত্রিম স্নেহ ও আস্থা। এই সাধারনের মধ্যে থেকে উঠে আসা আমি, আপনাদের পরিবারেরই একজন।” বিপ্লব কুমার দেব অকপটে স্বীকার করেন তিনি অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।তিনি আজও মাটির মানুষ। সম্পর্ক রাখেন মাটির সঙ্গে।
বনমালীপুর মণ্ডলে এদিন দেখা গেলো বিরল দৃশ্য। অবশ্যই এরকম দৃশ্য এর আগে রাজ্য রাজনীতিতে দেখা গিয়েছিলো কিনা তা বলা কঠিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিপ্লব কুমার দেব যখন আবেগ তাড়িত হবে মত বিনিময় করছিলেন,তখন তখন গোটা “বৈঠক খানা” স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব কুমার দেবের ইস্তফা যেন কেউই মেনে নিতে পারেনি। বৈঠকে উপস্থিত মহিলা কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ নাগরিকরা চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দলের কর্মী-সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের এই “আচরণ” মনে করিয়ে দেয়, বিপ্লব দেবের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমে নি মানুষের মধ্যে।বরং মুখ্যমন্ত্রী থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বিপ্লবের মানুষ আরো বেশি আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন। আসলে এটা, হওয়ারই বিষয়।কারণ বিপ্লব দেবের ইস্তফা এই রাজ্যের বড় অংশের মানুষের কাছে তড়িতাহত হওয়ার মতো অবস্থা।