ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ এপ্রিল।।
২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের পর ২৪- লোকসভা নির্বাচনেও ছাপ্পা ভোট। অভিযোগের তীর সরাসরি শাসক জোটের দিকে।বাড়ী বাড়ী ভোট গ্রহন প্রক্রিয়াতেই চলছে ছাপ্পা ভোট।ঘটনা সাব্রুম মহকুমার ৪০ সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের কানালবাড়ীতে। সিপিআই(এম), কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টরা ঘটনার প্রতিবাদ করেও কোনো সুবিচার পান নি।তাদের অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসার স্বপন দাস উল্টে রক্ত চক্ষু করে ধমকি দেন। অর্থাৎ তিনি সরকারি অধিকারীক হয়েও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেন। সমস্ত ঘটনা জানা সত্ত্বেও ঠুটোঁ জগন্নাথ নির্বাচন কমিশন।
সাব্রুম বিধানসভা লোকসভার পূর্ব আসনের অন্তর্ভুক্ত।আগামী ২৬ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোটগ্রহন। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যে সমস্ত ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে অক্ষম,তাদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়া হয়।
১৭ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার ৪০ সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের টাক্কাতুলসী এডিসি ভিলেজের কানালবাড়ীতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট গ্রহনের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের লোকজনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টরাও। ভোটরা যখন ভোট দেয়, তখন ভোট গ্রহণ স্থলে কমিশনের লোকজনের যাওয়াও বারণ।
সিপিআইএমের সাব্রুম মহকুমার বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের লোকজনের সামনেই সমস্ত নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুব্রত চৌধুরী নিজেই ভোটারদের ভোট দিয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী দলের এজেন্টরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
সিপিআইএম নেতা অরুন ত্রিপুরার কথায়, তারা বিচারের আশায় প্রিসাইডিং অফিসার তথা সাতচাঁদ পূর্ত দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার স্বপন দাসের দ্বারস্থ হন।
বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসার তাদের অভিযোগ শুনে অগ্নিশর্মা হয়ে যান। উল্টে তিনি শাসক দলের কট্টর কর্মীর ভূমিকা নিয়ে বিরোধীদের দিকে চোখ লাল করেন।
প্রিসাইডিং অফিসার স্বপন দাসের এই ভূমিকায় খোদ প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে “জনতার মশাল” প্রিসাইডিং অফিসার স্বপন দাসের সঙ্গে যোগাযোগের করেছিলো।কিন্তু মোবাইলে স্বপন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব নয় নি। মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে “নট রিচেবল” শব্দ।